সাগরিকার হ্যাটট্রিকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 12 hours ago

আকাশ দাশ সৈকত

লাল কার্ডের জন্য আগের তিন ম্যাচে ছিলেন মাঠের বাইরে দর্শক হয়ে। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রত্যাবর্তনটা করলেন দারুণ। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে এই যেন সাগরিকার আসলেন দেখলেন আর জয় করলেন-‘ চিরপরিচিত প্রবাদ বাক্য। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের নৈপুণ্যে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে আবারো সাফ শিরোধা ঘরে তুললেন বাংলাদেশ বাঘিনীরা।

২০২২ সালের মতো এইবারের সাফেও ছিলো না কোন ফাইনাল। তাইতো ডাবল পদ্ধতিতে মাঠে গড়ানো এই টুর্নামেন্ট ছিলো পয়েন্টের ব্যবধানে অর্থ্যাৎ পয়েন্ট তালিকায় যে দল এগিয়ে থাকবে সেই দল হবে চ্যাম্পিয়ন। যেখানে আজ কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের ম্যাচটি ছিলো অলিখিত ফাইনাল। আর ঘরের মাঠে আবারো শিরোপার স্বাদের লড়াইয়ে নামা বাংলাদেশ দলের শুরুটা ছিলো দুর্দান্ত ।

৮ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে থ্রু বল পান সাগরিকা। নেপালের ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এগিয়ে যান বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড। নেপালের গোলরক্ষক বক্সের বাইরে এসে তাকে আটকাতে পারেননি। কোনাকুনি প্লেসিং শটে সাগরিকা বল জালে জড়ান। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া নেপাল ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ দলের চৌকস রক্ষণ আর গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে পারেনি ফলে দারুণ আর বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা।

বিরতি থেকে ফিরে আবারো দারুণ ছন্দে ফিরে বাংলাদেশ ৫২ মিনিটে বক্সের সামনে নেপালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরিকা। অসাধারণ দক্ষতায় বল রিসিভ করে খুব দ্রুত মুভ করে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলেন। গোলরক্ষক পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। তার নাগাল পাওয়ার আগেই বল জালে পাঠান কুশলী ফরোয়ার্ড।

হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে বেশি সময় নেননি সাগরিকা। পাঁচ মিনিট পর বাংলাদেশ অর্ধ থেকে বাড়ানো এক লম্বা বলে সাগরিকা ডিফেন্ডারের সঙ্গে তাড়া করে পেয়ে যান। এবারও তিনি দারুণ দক্ষতায় বল জালে পাঠান চোখের পলকেই। গ্যালারীর সামনে গোল উদযাপন করেন। ৭৬ মিনিটে আবারো সাগরিকার গোল। এবার বলের যোগানদাতা মুনকি আক্তার।

বাংলাদেশ দলের এমন পারফরম্যান্সের দিনে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন কোচ বাটলার। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি নেপালি ফরোয়ার্ডরা। ফলে টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত খেলে কোন ম্যাচ না হেরে অলিখিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ । ৬ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের পয়েন্ট যেখানে ১৮ সেইখানে সামান ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নেপালের। তাইতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ড্র করলেই যথেষ্ট ছিলো বাংলাদেশ দলের। তবে বিশাল ব্যবধানে জিতে টুর্নামেন্টের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুললো সাগরিকা-মুনকিরা।

  • সাগরিকার হ্যাটট্রিকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ