অনলাইন ডেস্ক.
পালাবো না, কোথায় পালাবো?! এমনই বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কিন্তু সরকার পতনের পর থেকেই তিনি অন্তরালে। কেউ বলছেন ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্ট যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে গেছেন। কেউ দাবি করছেন তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। আবার কিছু সূত্র বলছে তিনি গণঅভ্যুত্থানের পরও তিন মাস পাঁচ দিন দেশেই ছিলেন। নানা গুঞ্জনের মাঝে এবার প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন প্রকাশ করলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা বদলে দিতে পারে পুরো পরিস্থিতি।
সোমবার সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইলিয়াস হোসাইন দাবি করেন, তিনি ওবায়দুল কাদের দেশে থাকার খবর জেনেছেন। পোস্টে ইলিয়াস লিখেন, অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছি ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন, তিনি দেশ ছেড়েছেন কিংবা মারা গিয়েছেন এসব খবর পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।
এর আগে ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন দাবিতে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে তিনটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার বলছে প্রচারিত ফটোকার্ড গুলো ভুয়া। প্রতিষ্ঠানটি এক প্রতিবেদন জানায় ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন দাবিতে গণমাধ্যমগুলো কোন ফটোকার্ড কিংবা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং সেসব গণমাধ্যমগুলোর ডিজাইন নকল করে আলোচিত ফটোকার্ড গুলো প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ড গুলোতে উল্লেখিত দাবিগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক একাধিক কিওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন নির্ভরযোগ্য সূত্রে ওই দাবি গুলোর সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আলোচিত ফটোকার্ড গুলো পৃথকভাবে যাচাই করে কোন সত্যতা পায়নি রিউমার স্ক্যানার।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে দেখা যায়, ভারতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, জটিলতা এড়াতে ওবায়দুল কাদের দিল্লিতে থাকতে পারেন, কেননা আত্মগোপনে থাকা বেশিরভাগ নেতাই তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা কলকাতায় অবস্থান করছেন। এই নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য ওবায়দুল কাদেরকেই দোষছেন। এজন্যই কলকাতায় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নেতাদের দেখা হলে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান পলাতক নেতারা। অবশ্য কেউ কেউ এখনো বলছেন কয়েক দফা সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।