জনপ্রিয়

চাঁদা দাবি করায় বিএনপি নেতাদের ৪ টি মোটরসাইকেলে ভাংচুর ও গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এলাকাবাসী

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 1 hour ago

মো: সুজন আহমেদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

১৩ বিঘা পুকুর খনন করছে এক কৃষক। পুকুর খনন করা অবৈধ বলে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বিএনপির নেতাকর্মীদের। চাঁদা না দেওয়ায় গত এক মাস যাবত পুকুর খনন বন্ধ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুকুর খননের বেকু মেশুন দিয়ে বাড়ির মাটি ভরাট কাজ করছে জেনেই বিএনপির ৮/১০ জন নেতাকর্মীরা হাজির হয় কৃষকের বাড়িতে। বাড়ির মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক কথা, দুই কথা বলতে বলতে কৃষকের ভাইয়ের সাথে কথাকাটি শুরু হয়। চাঁদাবাজরা কৃষকের ভাইকেও মারপিট করে। মারপিটে কৃষকের ভাইয়েী আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে চাঁদাবাজদের গণধোলাই দেওয়া শুরু করে। গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের ৪টি মোটরসাইকেল রেখে ৫/৭ জন পালাতে পারলেও ৫জনকে বেধরক গণধোলাই ও ৪ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনাটি ১৬ মে ২০২৫ইং তারিখে বিকেল ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নে নইপাড়া গ্রামে ঘটে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নে নইপাড়া গ্রামেরমৃত কালু শেখের পুত্র আবু সাইয়াদ (৪২) ১৩ বিঘা জমিতে একটি পুকুর খনন করছে। পুকুর খনন করা অবৈধ বলে সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জানান রোকন ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবাহান আলী সহ বিএনপির ৭/৮জন নেতাকর্মী ১লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। চাঁদা না পেয়ে প্রায় মাস খানেক সময় পুকুর বন্ধ করে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুকুর খননের বেকু দিয়ে শুক্রবার আবু সাইয়াদ বাড়ির কাজ করতে থাকে। বেকু দিয়ে বাড়ির কাজ করার খবর পেয়ে সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জানান রোকন ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবাহান আলী সহ বিএনপির ৭/৮জন নেতাকর্মী এসে পুনরায় আবার চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আবু সাইয়াদ এর বড় ভাই মোন্নাফকে বেধরক মারপিট করে এবং বেকু মেশিনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মোন্নাফ এর আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে চাঁদাবাজদের গণধোলাই শুরু করে। এসময় ৪টি মোটর সাইকেল রেখে অন্যান্য বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জানান রোকন ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবাহান আলী সহ ৫জন আটক করে গণধোলাই দেয় এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। আটককৃত ৫জন সলঙ্গা থানার পএলিশের নিকট তুলে দেন এলাকাবাসী।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, পুকুর তৈরীর বিষয়কে কেন্দ্র করে গণধোলাই দিলে ৫জনকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। এবিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

  • চাঁদা দাবি করায় বিএনপি নেতাদের ৪ টি মোটরসাইকেলে ভাংচুর ও গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এলাকাবাসী