সংবাদদাতা : দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ, নিপীড়ন, চাঁদাবাজি, সহিংসতা ও হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাধারণ ছাত্র ও স্থানীয় যুবসমাজ।
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র জনতা’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সচেতন তরুণরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতিনিধি নই, সাধারণ নাগরিক হিসেবেই এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশের প্রতিটি মানুষকে আজ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।”
তারা দেশব্যাপী ঘটতে থাকা ধর্ষণ, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও কঠোর বিচার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন। এবং সাম্প্রতিক এক ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে হত্যা করার ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানান।
শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পরও একদল সন্ত্রাসী নিয়মিত চাঁদাবাজি করছে। এ ঘটনা জাহিলিয়াতকেও হার মানায়। ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এই চাঁদাবাজি-খুনের রাজত্ব রুখে দেবে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার প্রতিনিধি মো : তাজুল ইসলাম বলেন, “নতুন বাংলাদেশে, যারা ধর্ষণ, হত্যা ও নিপীড়নের মতো ঘৃণ্য অপরাধে লিপ্ত হবে, ছাত্র-জনতা কাউকেই ছাড় দেবে না। ২৪-এর বাংলায় আর কোনো বর্বরতা সহ্য করা হবে না।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ভাবছে আবারও আগের মতো সহিংসতা চালাবে, তাদের পরিণতি আগেই ঠিক হয়ে গেছে।
ছাত্র প্রতিনিধি আবু বকর বলেন, “ঢাকায় সাম্প্রতিক একটি হত্যাকাণ্ড আমাদের শিউরে উঠিয়েছে। একজন মানুষকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা হয়েছে—এটি সভ্যতার মুখে চপেটাঘাত। স্বাধীনতা ফিরে পেয়েই যারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তারা জাতির নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
এসময় মুহাইমিনুল আজবীন, সাহিল আহমদ, শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, তাজুল ইসলাম, রেদোয়ান আহমদ ও মাওলানা বেলাল হোসাইন আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।