ডেস্ক রিপোর্টার.
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা সহ নানামুখী রাজনৈতিক চাপে বিপাকে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পার হওয়ার আগেই প্রশ্ন উঠেছে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়েও। সব মিলিয়ে কঠিন এই পরিস্থিতিতে নিজের পথ থেকে সরে যেতে চাইছেন ডক্টর ইউনুস। উঠেছে এমন গুঞ্জনও। বিএনপির হাই কমান্ড বলছে পরিস্থিতি বিবেচনায় বিকল্প খুঁজে নেবে জাতি। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে ডক্টর ইউনুসের বিকল্প কে?বিএনপি নেতা ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানো সহ দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ ইস্যুতে কয়েকদিন উত্তাল ছিল দেশের রাজনীতির মাঠ। যা নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকারও।হাইকোর্টের রায়ের পর এই আন্দোলন থামলেও সামনে আসে নতুন ইস্যু। গুঞ্জন উঠে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নিজেও নাকি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপি সহ দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের নেতারা। ডক্টর ইউনুসের পদত্যাগের পক্ষে বিপক্ষেও নানা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন কেউ কেউ।বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি। তবে করলে বিকল্প বেছে নিবে জাতি। ২৩ মে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।তবে প্রশ্ন ডক্টর ইউনুস পদত্যাগ করলে তার বিকল্প হবেন কে?সালাউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বিএনপি চাই নির্বাচনী রোডম্যাপ। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে সংস্কারের কথা বলে সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে। আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে বললেই হয়তো উনারা বা সরকারের মধ্যে কয়েকটি কর্নার একটি কর্নার নয়। কয়েকটি কর্নার সৃষ্টিতে তারা যতদিন পারে বিলম্বিত করে সরকারকে টেনে নিয়ে যেতে চায় এবং এই দায় দায়িত্বগুলো কিন্তু মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঘাড়ে এসে যাচ্ছে আমরা চেয়েছি রোডম্যাপ উনি নিজের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয় এখানে আবেগের কোন বিষয় নাই, আবেগ তাড়িত হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয় নাই, আমরা তো উনার পদত্যাগ চাইনি তারপরও যদি উনি ব্যক্তিগতভাবে ভাবে মনে করেন যে উনার অসুবিধা উনি থাকতে চান না তখন জাতি সেটার বিকল্প চিন্তা করবে, এই পৃথিবীতে কেউ অপরিহার্য নয়।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন ডক্টর ইউনুসের পদত্যাগে কোন শূন্যতা তৈরি হবে না। তবে বিএনপি চাই সম্মানের সঙ্গে ডক্টর ইউনুস থাকুক এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়ে জাতিকে সংকট থেকে মুক্ত করুক, নির্বাচনী রোডম্যাপই বর্তমান সংকটের একমাত্র পথ। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চেয়েছি সবসময়। কিন্তু সরকারেরই কোন কোন কোন মহল তারা বিএনপিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সমস্ত কর্মকাণ্ডে আমরা দেখেছি এবং আরেকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছে বলতে গেলে সংস্কার দেড় দুই মাসের মধ্যে করা সম্ভব উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংস্কার বিচার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে। নির্বাচন আয়োজনের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। বরং সরকার তা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা নির্বাচন চায় না কেউ কেউ চাইলেও অনেক বিলম্বিত নির্বাচন চায়। তাতে তাদের অনেক স্বার্থ থাকতে পারে। আমরা আরো কয়েকদিন দেখব সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার যদি শুভরোদয় হয় ভালো। তা না হলে আমরা আমাদের পন্থা বেছে নেব। সংকট উত্তরণের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও বিএনপি ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান সালাউদ্দিন আহমেদ।দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে মনে করে উনার কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছি যে, আমাদেরকে তারপরের দিন সকালে হোক বিকালে হোক অথবা তারপরের দিন হোক আমাদেরকে যেন একটু সময় দেন। বিএনপির একটি টিম উনার সাথে দেখা করতে চান আমাদের বক্তব্যগুলো তো বিএনপির মত একটা রাজনৈতিক দল যদি সাক্ষাৎকার পাঁচ দিনেও না পায় ছয় দিনেও না পায় সেটা বেশি দুঃখজনক।