সংবাদদাতা: দেলোয়ার হোসাইন মাহদী, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন সদর উপজেলাস্থ সুহিলপুর (মাদ্রাসা পাড়া) আনসার ক্যাম্পের পশ্চিমে অবস্থিত জায়েদা মঙ্গল আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (মহিলা শাখা) এর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স সমাপনী ছাত্রীদের বিদায়ী সংবর্ধনা, কৃতি ছাত্রী সংবর্ধনা, বার্ষিক শিক্ষা প্রদর্শনী, খতমে কুরআন ও বুখারীসহ কুতুবে সিত্তাহ’র খতম উপলক্ষে বার্ষিক অনুষ্ঠান ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুফতি মুবারকুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আলী আজম ক্বাসেমী ও মুফতি বুরহান উদ্দিন ক্বাসেমী। এছাড়াও মুফতি আব্দুল্লাহ ক্বাসেমী, মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মুফতি মাজহারুল হক ক্বাসেমী, মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা মারেফত আলী, মুফতি মারগুবুর রহমান, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মুফতি ইউসুফ ক্বাসেমী এবং মুফতি কাসেম আল ক্বাসেমীসহ আরও অনেক দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
মুফতি মাজহারুল ক্বাসেমী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জায়েদা মঙ্গল আরবি বিশ্ববিদ্যালয় একটি যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা চাই, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এমন আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক। তবে মুফতি আবু হানিফ সা’দী ও তাঁর সহযোগীদের মতো যোগ্য শিক্ষক মণ্ডলীর অভাবে এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।”
মুফতি বুরহান উদ্দিন ক্বাসেমী বলেন, “এটি একটি যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান, যা মুফতি আবু হানিফ সা’দী আল আজহারীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। এখানের সবাই অত্যন্ত যোগ্য। তিনি বলেন, ‘আমার শরীফপুর মহিলা মাদরাসায় সাধারণত কোনো মহিলা শিক্ষিকাকে হাদিসের কিতাব পড়ানোর দায়িত্ব দেইনা। তবে একজন শিক্ষিকার যোগ্যতা বিবেচনা করে আমি তাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরে তিনি (অত্র মাদরাসার পরিচালকের সহধর্মিণী হওয়ার সুবাদে) এখানে চলে আসায় তা আর সম্ভব হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, আমি অত্র অঞ্চলের লোকদেরকে বলি, এখানে এমন একটা মাদরাসা থাকতে তোমাদের শহরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।
অত্র প্রতিষ্ঠানের (পুরুষ ও মহিলা শাখার) মহাপরিচালক মুফতি আবু হানিফ সা’দী আল আজহারী বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষিত, আদর্শবান, ও যোগ্য নেতৃত্ব গঠনের স্লোগান নিয়ে ২০২২ সালে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে উচ্চতর গবেষণা সম্পন্নকারী একঝাঁক মেধাবী আলেমের সমন্বয়ে এই যাত্রা শুরু হলে এখনও পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলছি আলহামদুলিল্লাহ।” তিনি আরও বলেন, আমাদের মহিলা শাখা প্রথম শ্রেণী থেকে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পর্যন্ত। পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন ও মহিলা হিফজ বিভাগ রয়েছে। এবং পুরুষ শাখা হুফফাজ জামাত থেকে নিয়ে শরহে বেকায়া পর্যন্ত। পাশাপাশি দাওরা ফারেগীন ছাত্র ভাইদের জন্য আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইসলামি আইন ও ফতুয়া বিভাগ চালু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য উচ্চতর বিভাগগুলোও খোলা হবে। ইন’শা’আল্লাহ।
পরিশেষে প্রধান অতিথি মুফতি মুবারকুল্লাহ বুখারী শরীফের শেষ দারস প্রদান করেন এবং আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।