অনলাইন ডেস্ক.
এসআলম গ্রুপের মালিক মোঃম্মদ সাইফুল আলম হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশ ছেড়ে লাপাত্তা। তিনি শেখ হাসিনার আমলে ব্যাংক এবং মিডিয়া দখল করে হয়েছেন ডন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এবার নিজের দুর্নীতি ঢাকতে অন্তর্বর্তী সরকারকেই হুমকি দিলেন সাইফুল আলম।
সম্পদ ও বিনিয়োগ নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৬ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধর মোহাম্মদ সাইফুল আলম। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টির সমাধান না হলে আন্তর্জাতিক সালিশিতে যাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তার সম্পদ জব্দ ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করছে বলে দাবি করেছেন মোঃ সাইফুল আলম। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস ও একাধিক উপদেষ্টার কাছে বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ পাঠিয়েছেন এস আলম। সেই নোটিশে ছয় মাস সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই ঘটনায় সেই টাকা ফেরত আনার প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে। নোটিশে আরো বলা হয়েছে, এই ক্ষতি আদায়ে সাইফুল আলম আন্তর্জাতিক আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে নন সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে তার এই প্রচেষ্টা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপাক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির কথাও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর ওই নোটিশ দেয়া হয় এতে এস আলম পরিবার ২০১১ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২৯২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তারা দেশটির নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আরো বলা হয়েছে ২০২০ সালে তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস এর ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল এন্ড সুলিফানের আইনজীবীরা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। কুইন ইমানুয়েলের নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড ও অবহেলার কারণে বিনিয়োগকারীদের অর্থাৎ এস আলম গ্রুপের বিনিয়োগ ও সম্পদমূল্য সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এই অব্যাহত কর্মকাণ্ড ও অবহেলা বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় বিনিয়োগকারীদের অধিকার এবং বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন। যে কারণে সরকারের সঙ্গে তাদের মক্কেল সাইফুল আলম এর বিরোধ তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০০০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলেও অভিযোগ আছে। ওই সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে দাবি করেন। এস আলম গ্রুপের কর্ণধর মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে যে ভীতি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে এর পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির আলোকে তার সুরক্ষা প্রাপ্য। সুস্পষ্টভাবে বলা হয় ছয় মাসের মধ্যে বিষয়টির সমাধান না হলে আন্তর্জাতিক সালিশিতে যাবেন সাইফুল আলম।