সংবাদদাতা: দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলাস্থ দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভুঁইয়ার স্ত্রী রিতু (২৮) গত ৭/৫/২৪ ইং রোজ শুক্রবার বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) থেকে শশুর বাড়ি দ্বিজয়পুরে যাওয়ার পথে তিন কন্যা তাবাসসুম আক্তার (১০), তানিশা আক্তার (৭) এবং হুমায়রা আক্তার (৫) সহ নিখোঁজ হয়েছিল। এ ব্যাপারে স্বামী আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, গত রোববার (২ই জুন) আমার স্ত্রী তিন কন্যাকে নিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা আখাউড়ায় আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পরিচিত এক অটোরিকশাযোগে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসে। এখান থেকে অটোরিকশা থেকে নেমে অজ্ঞাত একটি অটোরিকশায় ওঠে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে না পৌঁছায় আমি শ্বশুরকে ফোন করে জানতে পারি তারা সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তখন আশপাশের আত্মীয়-স্বজন ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৮ই জুন) দুপুরে নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পরে আজ ৯/৫/২৪ ইং রোজ রবিবার তাকে তিন সন্তান সহ বগুড়ায় মেহেদী হাসান নামের এক প্রেমিকের বাড়িতে পাওয়া যায়। এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন জানান, ৬ মাস ধরে মোবাইলে বগুড়ার মেহেদী হাসান নামে এক তরুণের সঙ্গে ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। শুক্রবার মেহেদী হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। একই দিনে ঐ গৃহবধূ তিনকন্যাকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বের হন। পরে মেহেদীর সঙ্গে তারা বগুড়ায় চলে যান। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তাদেরকে প্রেমিক মেহেদী হাসান এর বাড়ি বগুড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে প্রেমিক সহ তাদেরকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, তাদেরকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিরে আসছে পুলিশের একটি দল। আসার পর জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও তথ্য জানা যাবে বলেও জানানো হয়।