জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাল্যবন্ধু স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ায় মাসের পর মাস বন্ধ থাকে কমিউনিটি ক্লিনিক

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 8 months ago

মোঃ রেজাউল করিম খান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: বর্তমান সরকার গ্রামের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ চিকিৎসাসেবা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। ইতোমধ্যে গ্রামীণ চিকিৎসাসেবাকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। ক্লিনিকগুলো থেকে রোগীদের মধ্যে প্রায় ২৭ প্রকার ওষুধও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ৩টি ও মেছড়া ইউনিয়নে ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করেছে সরকার। জনবলও নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্তরা থাকেন শহরে। শহরে থাকার কারনে ২টি ইউনিয়নে ৬টি ক্লিনিকে সপ্তাহের প্রতি সোমবার ক্লিনিক খোলা রেখে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেবা দিয়ে চলে আসে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অবস্থিত এই দুই ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত সপ্তাহে ছয়দিন খোলা রাখার বিধান থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। এতে করে দুর্গম চরাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না গ্ৰামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হতদরিদ্র অসহায়রা। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ৩টি ও মেছড়া ইউনিয়নে ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করেছে সরকার। কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী সিএইসসিপি আরিফ উল বেনজামিন শাকিল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বাল্য বন্ধু হওয়ার কারনে মাসের পর মাস বন্ধ থাকে কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ক্লিনিকে রোগী দেখা খাতাপত্র সহ সকল কাগজপত্র শহরের বাসাশ রেখে সপ্তাহে ৬দিন খাতায় ভুয়া রোগী লিখে রাখেন। ভুয়া রোগীর নামের পার্শ্বে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ লিখে রাখেন। ভুয়া রোগির নামের পার্শ্বে ওষুধগুলো আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা আব্দুস সালাম জানান, কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পুর্বে সপ্তাহে ১দিন (সোমবার) ক্লিনিক খোলা থাকত। বর্তমানে শারিতা মিল্লাত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হলেও এখন মাসে ১দিন ক্লিনিক খোলা থাকে। আমরা এলাকাবাসী সিএইসসিপিকে মোবাইল করলে, তিনি বলেন, আমাকে আমার কর্মকর্তা সদর হাসপাতালে রেখে দিয়েছেন। অপরদিকে, কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বড় কযড়া, কাটেংগা কমিউনিটি ক্লিনিক, মেছড়া ইউনিয়নের গঠিয়া, শুড়ি মেছড়া ও তেঘরী কমিউনিটি ক্লিনিকের একই অবস্থা বিরাজ করছে। কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইসসিপি আরিফ উল বেনজামিন শাকিল জানান, চরাঞ্চল হওয়ায় মাঝে মধ্য আমি ক্লিনিকে যায় না। যেদিন ক্লিনিকে যায় না, সেদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করি। ক্লিনিকে না গিয়ে ভুয়া রোগী খাতায় দেখানো বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প:প: কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম হীরাকে মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কাযার্লয়ের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আ.ফ.ম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

  • স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাল্যবন্ধু স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ায় মাসের পর মাস বন্ধ থাকে কমিউনিটি ক্লিনিক