জনপ্রিয়

স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বোনের টাকা আত্মসাত, সিরাজগঞ্জ এলএ অফিসে শুনানী

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 8 months ago

মোঃ রেজাউল করিম খান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের হাটিকুরুমরুল ইন্টারচেঞ্চে অধিগৃহনকৃত জমির টাকা বোনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনপুর্বক আত্মসাত করেছে ছোট ভাই শিহাবুল ইসলাম ওরফে শিহাব সিদ্দিকী। এ ঘটনায় বোন লায়লা সিদ্দিকী ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা (এলএ) অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ নিয়ে ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্টেট নুসরাত জাহান দুপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী করেছেন। শুনানী শেষে লায়লা সিদ্দিকীকে লিখিতভাবে টাকা পায়নি তা লিখিতভাবে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী লায়লা সিদ্দিকী সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত লিয়াকত আলী সিদ্দিকীর মেয়ে ও চড়িয়াকান্দিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী। তবে একই অভিযোগ আরেক বোন বেসরকারী এনজিও প্রতিষ্ঠান এনডিপির আলাউদ্দিন খানের ছেলে জুবায়ের খানের স্ত্রী সুরাইয়া সিদ্দিকী অভিযোগ দিলেও তিনি অজ্ঞাত কারনে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। বিষয়টি সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি কোন কথা না বলে দ্রুত পালিয়ে যান। জানা যায়, লায়লা সিদ্দিকীর বাবা হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান মৃত লিয়াকত সিদ্দিকী ওরফে বকুলের সম্পত্তিতে সরকারের মেগা প্রকল্প হাটিকুমরুল ইন্টারচেইঞ্জ নির্মাণ করছেন। বাপ-দাদার অধিগ্রহনকৃত জমির মুল্য প্রায় ১৪৮কোটি। ইতোমধ্যে কিছু জমি অধিগ্রহণের টাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে। ছোট ভাই শিহাবুল ইসলাম ওরফে শিহাব সিদ্দিকী ভূয়া পাওয়ার অব এ্যাটর্নি তৈরী করেন এবং বোন লায়লা সিদ্দীর স্বাক্ষর জাল করে জমি অধিগ্রহণের ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে এবং তা সিহাবুল নিজে একাই সম্পূর্ণ আত্মসাত করেছে। বাবার ওয়ারিশ হিসেবে ভাইয়ের কাছে লায়লা সিদ্দিকী টাকা চাইলে টাকা দিতে অস্বীকার করেন এবং নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। পরে ভুক্তভোগী লায়লা সিদ্দিকী ও সুমাইয়া সিদ্দিকী এলএ অফিস লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার শুনানীতে দুইবোন ও ভাই শিহাবুল উপস্থিত হয়ে শুনানীতে অংশগ্রহন করেন। শুনানীর সময় আলাউদ্দিন খানের ছেলে জুবায়ের খানের স্ত্রী সুরাইয়া সিদ্দিকী অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর দিলেও ভাইয়ের সাথে মিলেমিশে শুনানীতে বলেন টাকা পেয়েছি বলে স্বীকারোক্ত দিয়েছেন। তবে লায়লা সিদ্দিকী টাকা পায়নি বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ অবস্থায় নির্বাাহী ম্যাজিষ্ট্রেট লায়লা সিদ্দিকীকে টাকা পায়নি এ মর্মে লিখিত স্বাক্ষ্য এব সুরাইয়া সিদ্দিকী টাকা পেয়েছে লিখিত স্বাক্ষ্য জমা দিতে বলেছেন। শুনানী শেষে অভিযুক্ত দুরন্তর ছোট ভাই শিহাবুল ইসলাম ওরফে শিহাব সিদ্দীকি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, এলএ অফিস যাচাই-বাছাই করে আমাকে টাকা দিয়েছে। এ সংক্রান্ত সাক্ষ্য দেয়া হয়েছে। এলএ অফিস তদন্ত করে যে সিদ্ধান্ত দিবে তা মেনে নেবো। তবে সুরাইয়া সিদ্দিকীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোন কথা না বলে দ্রুত পালিয়ে যান। পিছনে গেলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। এ বিষয়ে লায়লা সিদ্দিকী বলেন, বাবার সন্তান হিসেবে আমরাও তার সম্পত্তির ওয়ারিশ। কিন্তু আমার ভাই প্রতারণার মাধ্যমে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। এ অবস্থায় আমরা ন্যায় বিচার প্রার্থী। আশা করছি এলএ অফিস বিষয়টি সুষ্ঠভাবে তদন্ত পুর্বক ন্যায্য পাওনা ফেরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন ।

  • সিরাজগঞ্জ এলএ অফিসে শুনানী
  • স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বোনের টাকা আত্মসাত