জনপ্রিয়

সালথা পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কমে গেছে বোরো ধানের আবাদ

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi JM TV
প্রকাশ: 2 months ago

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ধারাবাহিকভাবে শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্তরের পানি নেমে যাওয়ায় বোরো ধানের আবাদ করে আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েন ফরিদপুর সালথা উপজেলার চাষিরা। তাই এ ধানের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে ফরিদপুরের সালথায় বোরো ধানের আবাদ কমেছে প্রায় ১৫১হাজার হেক্টর, তবে সালথা উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, বোরো আবাদ কমলেও অন্য ফসলের আবাদ বেড়েছে।

সালথা উপজেলা ধান চাষিরা জানান, বোরো ধানের চাষাবাদ সম্পূর্ণ সেচনির্ভর হওয়া ছাড়াও শ্রমিক খরচ, কীটনাশক এবং সারের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। অন্যদিকে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রতি বছরই এ অঞ্চলে ধানের চাষাবাদ কমেছে।

জানা যায়, সালথা উপজেলার প্রধান ফসল পাট, পেঁয়াজ ও রোপা আমন। এক যুগ আগেও পাট, গম ও বোরো-ইরি ধান ছিল এই অঞ্চলের প্রধান ফসল। রোপা বর্ষা মৌসুমে রোপা আমন চাষ ঠিকই আছে, তবে পেঁয়াজ চাষের ভিড়ে হারিয়ে গেছে বোরো ধান ও গমের আবাদ।

ধান চাষি বাবু মোল্যা ও রাজেক শেখ বলেন, পেঁয়াজ চাষে জমিতে ফলন বেশি, লাভও বেশি। তাই এখন কেউ চলতি বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ করতে চায় না। সবাই পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছে। তারপরও এ বছর যতটুকু বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, তাতে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এ বছর সালথা উপজেলায় ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় ফলনও ভালো হবে।