আকাশ দাশ সৈকত
চেক প্রতারণার মামলায় বিশ্বেসেরা অলরাউন্ডার ও পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত । একটা সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার । নিজের অলরাউন্ড নৈপূন্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন বহু দূরে। যেখানে খেলেছেন সেইখানে নিজের দূত্যি ছড়িয়েছেন, হয়েছিলেন বাংলার ক্রিকেটে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । তবে হঠাতে হলো নক্ষত্রের পতন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুল্থানে খুনের মামলার মামলার আসামী হয়েছিলেন আগেই। এবার নতুন করে আরেক মামলায় জড়িত বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও পতিত আওয়ামী লীগের মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। সাকিবের বিরুদ্ধে এই মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে চেক জালিয়াতির কারণে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এই পরোয়ানা জারি করেন। গেল ১৫ ডিসেম্বর সাকিবসহ চার জনের বিরুদ্ধে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে এবং ১৮ জানুয়ারি সাকিবসহ চারজনের জন্য সমন জারি করেন। এর মাধ্যমে তাদেরকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার কারণে হাজির হতে পারেনি সাকিব আল হাসান। ফলে মামলার আভাস অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির হতে না পারলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে তাদের বিরুদ্ধে। এরপর সমনে সাড়া না দেওয়ার ফলে আজ তার বিরুদ্ধে জারি হলো গ্রেফতারি পরোয়ানা। জানা যায়, আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ঋণ নিয়েছে সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম। তবে তার বিপরীতে এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংককে ২টি চেক ইস্যু করে। সেখানে টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ কোটি ১৫ লাখ। তবে চেকের বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা ছিল না ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। যার ফলে চেক ডিজঅনার হয়। তা থেকে মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ব্যাংক।