আকাশ দাশ সৈকত
রিশাদ হোসেনের ক্যামিও ইনিংসে চট্টগ্রাম কিংসের স্বপ্নভঙ্গ করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা নিজেদের ঘরে তুললো ফরচুন বরিশাল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে দারুণ শুরু করে চট্টগ্রাম কিংস। বরিশালের বোলারদের উপর তান্ডব চালানোর দুই ব্যাটার বন্দরনগরীর দলটিকে প্রথম দশ ওভারে পৌঁছে দেয় শতকের ঘরে। তবে দলীয় ১২১ রানের মাথায় এবাদত হোসেনের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে তালুবন্ধি হয়ে পাকিস্তানি ব্যাটার খাজা নাফি ফিরলে ভাঙে ভয়ঙ্কর এই উদ্বোধনী জুটি । ৪৪ বলে ৬৬ রান করে ফিরেন নাফি। নাফির বিদায়ে এইদিন তিনে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে ঝড় তুলেন গ্রাহাম ক্লার্ক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পারভেজ ইমনকে নিয়ে গড়েন ৭১ রানের জুটি। তবে ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় রান আউটের কাটা পড়ে গ্রাহাম ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
গ্রাহামের বিদায়ে এইদিন ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হতে পারেননি শামীম পটোয়ারী। ফিরেন ২ রান করে দলের এমন অবস্থায় উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকলেও সঙ্গীর অভাবে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় ৪৯ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন পারভেজ ইমন। আর শেষে ফরচুন বরিশালের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের ইনিংস থামে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানে। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আলি এবং এবাদত হোসেন।
চট্টগ্রামের দেওয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা করে বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং তৌহিদ হৃদয় । তবে ব্যক্তিগত ৫৪ রানের মাথায় তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে বরিশালের ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তামিমের বিদায়ে তিনে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হতে পারেননি দাওহিদ মালান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বসা বরিশালের হয়ে উইকেটে থিতু হতে পারলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার তৌহিদ হৃদয় । নাইম ইসলামের শিকার হওয়ার আগে ফিরেন ৩২ রানে।
দলের এমন পরিস্থিতিতে কাইল মায়ার্সকে সঙ্গী করে মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে ও ব্যক্তিগত ১৬ রানে মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে ৩৪ রানের চতুর্থ উইকেটের জুটি ভাঙেন নাইম। তবে মুশফিক ফিরলেও বরিশালকে ম্যাচে ফেরানোর দায়িত্ব ছিলো মায়ার্সের উপর ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে শরিফুলের শিকার হওয়ার আগে নিজের কাজটা ও করে গেছিলেন ঠিকঠাক। তবে ম্যাচের মূল নাটকীয়তা যেন তখনও বাকি শেষ ৮ বলে যখন ১৭ রান দরকার তখন রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের হয়ে ৪টি উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম , নাইম ইসলাম শিকার করেন দুইটি উইকেট অন্য উইকেটটি নেন ভিনুরা ফেনান্দো।