আন্তর্জাতিক ডেস্ক.
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই নানা ইস্যুতে মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নরেন্দ্র মোদির এই দলের মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কটুক্তি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার ভারতীয় পার্লামেন্টে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জনরসে পড়েছেন তিনি। এর জেড়ে শুভেন্দুকে জুতা পেটাও করা হয়।
ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ঢাকা নয়া দিল্লির সম্পর্ক তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষ করে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক কটুক্তি করেই চলছেন। চলমান এই উত্তেজনা ও বাংলাদেশকে নিয়ে বেশি বিষোদাঘাত ছড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নেতা শুভে অধিকারী।
এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জনরোষে পড়েছেন শুভেন্দু। এমনকি জনরোষের মুখে শিকার হয়ে মার ধরের শিকার হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামে এক পথ সভায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভারতীয় পার্লামেন্টে তৃণমূল নেত্রী মমতাকে নিয়ে কুরুচিকর ও অপমানজনক মন্তব্য জেড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। পথসভায় বিজেপি এই নেতা এলে তার উপর চড়াও হন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। এসময় জুতা দিয়েও মারা হয় শুভেন্দুকে।
এর আগে ভারতীয় পার্লামেন্টে মমতাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু জানান শরীর থাকলে জড় যেমন হয়, তেমনি একটু ধর্ষণও হয়। তার এমন মন্তব্যের কারণে পার্লামেন্ট জুড়ে হট্টগোল শুরু হয়, বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সংসদ সদস্যরা। খোদ স্পিকারই শুভেন্দুকে থামিয়ে দেন বক্তব্যের মাঝপথে।
এরপরেই নন্দীগ্রামে পথসভায় এসে মারধরের শিকার হন শুভেন্দু অধিকারী। মারধর থেকে রক্ষা পেতে এক পর্যায়ে নন্দীগ্রাম থানায় আশ্রয় নেন তিনি। শেষমেষ পুলিশের নিরাপত্তায় জনরোস থেকে রক্ষা পান বিজেপি এই নেতা।
বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে কটুক্তি করে বিতর্কিত হয়েছেন এই বিজেপি নেতা। তার বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনটাই দাবি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি এই নেতা। এছাড়াও ভারত বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক বক্তব্যে বলেন-যাহাই ইউনুস তাহাই মমতা, দেড় বছর লেগেছিল এই রাজাকারের বাচ্চা, হেফাজতের বাচ্চা, ভারত বিরোধীদের সোজা করতে।