দেলোয়ার হোসাইন মাহদী ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন আখাউড়া উপজেলাস্থ ধরখার গ্রামে নূরে মদীনা তা’লীমুল কুরআন মাদরাসায় ৩য় বার্ষিকী হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন, সকলের পরিচিত আলেমেদ্বীন মুফতী আসাদুজ্জামান সাহেব ও মাও. উবায়দুল্লাহ ভাদুঘরি প্রমুখ। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হা. মাও. হামিদুল হক, হা. মাও. গোফরান, হা. মাও. জহিরুল ইসলাম, হা. মাও. ইউসুফ হোসাইনী, হা. মাও. আবুল খায়ের সহ আরও অনেকেই।
অনুষ্ঠানটি সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে বিকাল চারটায় পুরস্কার বিতরণ ও দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।
এতে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র অংশগ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজয়ীদের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
২০পাড়া গ্রুপের ১ম পুরস্কার ছিল নগদ ১০ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ২য় পুরস্কার ছিল নগদ ৭ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৩য় পুরস্কার ছিল নগদ ৪ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৪র্থ পুরস্কার ছিল নগদ ২ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৫ম পুরস্কার ছিল নগদ ১ হাজার টাকা ক্রেস্ট।
১০ পাড়া গ্রুপের ১ম পুরস্কার ছিল নগদ ৬ হাজার টাকা ও টেস্ট। ২য় পুরস্কার ছিল নগদ ৪ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৩য় পুরস্কার ছিল নগদ ৩ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৪র্থ পুরস্কার ছিল নগদ ২ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৫ম পুরস্কার ছিল নগদ ১ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট।
৫পাড়া গ্রুপের ১ম পুরস্কার ছিল নগদ ৫ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ২য় পুরস্কার ছিল নগদ ৪ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৩য় পুরস্কার ছিল নগদ ৩ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৪র্থ পুরস্কার ছিল নগদ ২ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। ৫ম পুরস্কার ছিল নগদ ১ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। এছাড়াও প্রত্যেক গ্রুপের ৬-১০ পর্যন্ত সকল প্রতিযোগীদের জন্য ছিলো আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
অত্র মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাঃ জিল্লুর রহমান বলেন, কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতেই তার এই প্রয়াস। প্রতি বছরই আল্লাহর রহমতে এরকম অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাদরাসাটি আন্তর্জাতিক মানসম্মত যুগোপযোগী একটি দ্বিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে আরবির পাশাপাশি বাংলা – অংক ও ইংরেজিও শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। মনোরম নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। ২৪ ঘন্টা গেটলক, প্রবাসী ও কর্মব্যস্ত ফ্যামিলির সন্তানদের দায়িত্ব নেওয়া সহ আরও অনেক বৈশিষ্ট্য আছে। তাই মাদরাসা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের অত্র প্রতিষ্ঠানটিকেও আপনাদের পছন্দে রাখতে পারেন।
সমাপনী বক্তব্যে আগত দাওয়াতি মেহমানগন ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে অত্র মাদরাসার কবুলিয়্যাত ও উন্নতি কামনা করেন।