আন্তর্জাতিক ডেস্ক.
সেনা থেকে সমরাস্ত্র সবকিছুর প্রস্তুতি সম্পন্ন, এবার শুধু বিস্ফোরণের অপেক্ষা। গোপনে যুদ্ধের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে চীন। এমনই চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন উঠে এসেছে পেন্টাগনের বার্ষিক প্রতিবেদনে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- এক বছরে চীনের মজুদে যুক্ত করা হয়েছে ১০০ টি পরমাণু বোমা। ২০২৪ সালের শেষে এসে বেইজিং এর নিউক্লিয়ার স্টক পাইলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০০ তে। তবে এখানেই থেমে নেই সিজিনপিং। চীনা প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটির পরমাণু বোমার সংখ্যা পৌঁছাবে ১০০০ তে। আর যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে ২০৩৫ এর মধ্যে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বর্তমানে চীনের কাছে দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম এর পরিমাণ ৪০০ টি এগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারত ফিলিপিনস ও জাপানের মত দেশগুলোয় হামলার ক্ষেত্রে তৈরি করা মাঝারি পাল্লার ১৩০০ টি মিসাইল রয়েছে চীনের ভান্ডারে। পিপলস লিবারেশন আর্মির এই মিসাইল গুলো পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম। নিউক্লিয়ার ওয়েপেন সংরক্ষণের জন্য নতুন তিনটি সেলো বা অস্ত্র গোদাম তৈরি করেছে চীন। বর্তমানে দেশটির কাছে রয়েছে ৫৫০ টি আইসিবিএম লঞ্চার। এক বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে 50 টি। এর মাধ্যমে আইসিবিএম লঞ্চারের দিক থেকে ওয়াশিংটন কে টপকে গেছে বেইজিং।
পেন্টাগনের প্রতিবেদনে জানানো হয়- পরমাণু অস্ত্র সংখ্যা বাড়ানোর বিষয় থেমে থাকেনি চীন। পাশাপাশি অস্ত্রকে আরো প্রাণঘাতী করার ক্ষেত্রে চলছে গবেষণা।
শত্রুকে পরাস্ত করার পাশাপাশি নিজ দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নৌবাহিনী। যে দেশের নৌবাহিনী যত বড় ও উন্নত যুদ্ধক্ষেত্রে সে দেশ ততটাই শক্তিশালী।
পেন্টাগনের প্রতিবেদনে জানানো হয়-যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনীর তকমা এখন চীনের দখলে।
বর্তমানে জিনপিং সেনাদের কাছে রয়েছে ৬টি পরমাণু চালিত ব্যালেস্টিক সাবমেরিন, ৬টি পরমাণু চালিত অ্যাটাক সাবমেরিন ও এআইপি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ৪৮ টি ডিজেল চালিত সাবমেরিন। আগামী বছর নাগাত দেশটির ডুবো জাহাজের সংখ্যা পৌঁছাবে ৬৫ তে আর ২০৩৫ সাল নাগাত এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ৮৫ এর ঘরে। এছাড়াও পাঁচ বছরের মধ্যে নৌবাহিনীতে ৬৫ টি যুদ্ধজাহাজ যোগ করা হচ্ছে। ফলে ২০৩০ সাল নাগাত ওয়ারশিপের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৩৫ টিতে। এতে দক্ষিণ চীন সাগরে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে বেইজিং।
তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন চীনা অধিপতি। পেন্টাগনের প্রতিবেদন বলছে- দক্ষিণ চীন সাগরে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম দ্বীপ যা তাইওয়ান দখলের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, একই সঙ্গে দ্বীপটি জাপান ও ফিলিপিনস এর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।