করফাকির অভিযোগে ফেসে যাচ্ছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মা শিরিন আক্তার। পেশায় গৃহিণী সাকিব আল হাসানের মায়ের আয়কর নথিতে মিলেছে ৫০ কোটি টাকায় সন্দেহজনক সম্পদ। যা সঠিক উৎস দেখাননি তিনি। কর গোয়েন্দাদের হিসেবে ফাঁকির কর ও জরিমানা সহ অন্তত ৩৯ কোটি টাকা দিতে হবে শিরিন আক্তারকে। গোয়েন্দারা বলেছেন শিরিন আক্তার একজন গৃহিণী বাস্তবিকভাবে এত টাকা তার থাকার কথা না। রাজস্ব কর্মকর্তাদের ধারণা এই টাকা সাকিব আল হাসানের। তিনি কর ফাঁকি দেয়ার জন্য মায়ের নামে সম্পদ দেখিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে ধীরে ধীরে লোপ পেয়েছে তার সেই খ্যাতি। নাম জড়িয়েছে আর্থিক খেলাসহ নানা ধরনের কেলেংকারীতে, হয়েছে স্বৈরাচারের সহযোগীও। যে কারণে সাকিবের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে কয়েকটি সংস্থা। সম্প্রতি সাকিব আল হাসান তার পিতা মাশরুর রেজা ও মা শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগের তদন্ত শুরু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর এর আয়কর গোয়েন্দা। সাকিব আল হাসানের মায়ের নথিতে মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য শিরিন আক্তার প্রথম আয়কর রিটার্ন জমা দেন ২০১৯-২০ কর বর্ষে। নথিতে সম্পদ দেখান ৫০ কোটি ২ লাখ টাকা। সেখান থেকে ছেলে সাকিবকে ৯ কোটি টাকা ঋণ দেখান তিনি। বাকি টাকা শেয়ার বাজার ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে জমা থাকার তথ্য দেন। তবে এই টাকা শিরিন আক্তার কিভাবে আয় করেছেন তার ব্যাখ্যা বা উৎস দেখাননি। আইন অনুযায়ী উৎস সঠিক না হলে সম্পদ আয় হয়ে যায় তখন তার উপর কর প্রযোজ্য হয়। গোয়েন্দারা জানান প্রাথমিকভাবে শিরিন আক্তারের ৩৯ কোটি টাকার দায় নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকতর বিশ্লেষণে যা আরো বাড়তে পারে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান নথিতে উল্লেখ করা সম্পদের বাইরে শিরিন আক্তারের আর কোন সম্পদ আছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তি যাতে টাকা সরিয়ে নিতে না পারে সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। শিরিন আক্তারের পাশাপাশি তার ছেলে সাকিব আল হাসান এবং সাকিবের বাবার নথিও তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা।
সবশেষ আয়কর নথিতে শিরিন আক্তার সম্পদ দেখিয়েছেন ৫৩ কোটি টাকা এর মধ্যে ব্যাংক ঋণ ১২ কোটি টাকা।