নিজস্ব প্রতিনিধি.
ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কে চাকুরী ছাড়ার হুমকি জামায়াতে নেতার।
এই কর্মকর্তার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি সংশোধন হয়ে যান। আওয়ামী লীগের সময় অনেক খাইছেন। আওয়ামী লীগের ভয় দেখিয়ে অনেক মানুষকে ল্যাংটা করেছেন। চেয়ারম্যানদেরও ল্যাংটা করেছেন। এখন ভালো হয়ে যান। সম্ভব না হলে সালথা ছাড়েন।’ তখন ফেরদৌস আরা জানান, তিনি ডিপার্টমেন্টের ইচ্ছায় সালথা আছেন। এবার জামায়াত কর্মী বলেন, ‘ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের; এটি আপনার বাজানের না।’
জানতে চাইলে ওয়ালি উজ জামান সমকালকে বলেন, ‘আমি কোনো দলের নই। উপজেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারির খামছাড়া চিঠি দোকানে দিতে আসায় সচেতন নাগরিক হিসেবে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। ধমক দিইনি। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনিই শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছেন। তা ছাড়া ফেরদৌস আরা আওয়ামী লীগের দোসর। বিগত আমলে ক্ষমতা দেখিয়ে প্রতিদিন দুপুর ২টার পর অফিস করতেন।’
জামায়াতের উপজেলা আমির আবুল ফজল মুরাদ বলেন, ইউএনও বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। ধমকাননি, তিনি জানতে চেয়েছিলেন। তার পরও বিষয়টি নিয়ে আমরা বসব। তবে চিঠি দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ভদ্রতা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সালথার ইউএনও আনিছুর রহমান বালি জানান, মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।