জনপ্রিয়

শ্যামনগরে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুমের বিরুদ্ধে প্রদর্শনীর প্রকল্পের টাকাও কৃষি পন্যে বার্নিজ্যের অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 8 months ago

রাকিবুল হাসান (সাতক্ষীরা) শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে যে, শ্যামনগর উপজেলায় ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে সরকারি ভূর্তকীর আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে উপজেলায় ১৭ টি পাওয়ার টিলার কৃষি অফিস থেকে ৭০% ভর্তুকি মূল্যে বিতরন করা হয়।ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ধাপুয়ার চক গ্রামের আকবার হোসেনের ছেলে ফজলুল হক, মুজিবর রহমানের ছেলে শেখ তরুন রাসেল, শ্যামনগরের দেবালয় গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী সাঁপুই, গৌরীপুর মাঠবাড়ী গ্রামের রহমত মিস্ত্রির ছেলে রেজাউল ইসলাম, গৌরীপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে আব্দুল হান্নান, কাশিমাড়ী ইউনিয়নের শংকরকাটী গ্রামের হিরালাল মন্ডলের ছেলে নিশিকান্ত, কাঠাবাড়ীয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আক্তাবুজ্জামান, আনছার মোড়লের ছেলে আব্দুর রহমান, নূরনগর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে রাহিদ গাজী, আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওলভাঙ্গী গ্রামের নছিমউদ্দীন গাজীর ছেলে নূরউদ্দিন কবির, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ধুমঘাট গ্রামের নরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে সরজিত কুমার মন্ডল, কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালীর গ্রামের ইউনুচ সরদারের ছেলে গোলাম মোস্তফা, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ছেলে ইচাকুড় গ্রামের করিম সরদারের ছেলে মজিবর রহমান, কুলতলী গ্রামের আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম, আয়ুব আলী শেখের ছেলে আব্দুর রহিম, সেন্ট্রালকালিনগর গ্রামের কালিপদ সরদারের ছেলে ত্রিদীপ কুমার মন্ডল (পল্টু), জেলেখালী গ্রামের নরেন্দ্র মন্ডলের ছেলে মঙ্গল চন্দ্র মন্ডল এই পাওয়ার টিলারগুলো ভূর্তুকির মাধ্যমে গ্রহন করেন ৷অভিযোগ উঠেছে, ভূর্তুকি বাদে ৩০% টাকা নিয়ে পাওয়ার টিলার দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০% টাকার চুক্তিতে তাদের পাওয়ার টিলার দেওয়া হয় ৷এর পরও বেনামি ভাবে একটি পাওয়ার টিলার কোথায় বিক্রি করা হয়েছে সেটা জানাযায়নি ৷ পাওয়ার টিলার গ্রহনকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুমের কাছে নগত ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা দিয়ে পাওয়ার টিলার গ্রহন করেছি ৷ আব্দুর রহিম বলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুমের কাছে নগত ২ কিস্তির মাধ্যমে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে পাওয়ার টিলার গ্রহণ করেছি।ত্রিদীপ কুমার মন্ডল (পল্টু) ভীতু কন্ঠে তথ্য গোপন করে বলেন, কত টাকা দিয়ে নিয়েছিলাম মনে নেই।অপর দিকে কৃষি অফিসের তথ্যমতে মঙ্গল চন্দ্র মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে জানাযায় তিনি পাওয়ার টিলার সম্পর্কে কিছু জানেনই না ৷ তিনি বলেন, গতবছর আমার নিজের পাওয়ার টিলারে দূর্ঘটনায় আমি আহত অবস্থায় চিকিৎসায় ছিলাম ৷ সেই সময় হঠাৎ একদিন কে যেন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমার নামে একটি পাওয়ার টিলার সরকারি ভূর্তুকীর মাধ্যমে এসেছে ৷ আমি শ্যামনগর কৃষি অফিসে আবেদনও করেনি ৷ আমার চিকিৎসায় সব টাকা খরচ হওয়ায় পাওয়ার টিলারটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করি ৷ পরে আর কিছু জানি না ৷ হঠাৎ কয়েকদিন আগে আপনাদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে ত্রিদীপ কুমার মন্ডল (পল্টু) আমাকে আপনাদের সাথে কিছু বলতে নিষেধ করে ভয়ভীতি দেখায় ৷এছাড়াও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুমের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে ৷ মাসুমের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলায় ৷ তিনি চাকুরীর জীবন থেকে গত ৯ বছর ধরে একুই স্থানে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসে চাকুরী করছেন ৷ উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপির সুপারিশে এই পণ্যগুলো দেওয়া হয়েছে এখানে কোন লেনদেন হয়নি ৷উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, আমার যোগদানের আগে যা হয়েছে সেটা তো বলতে পারবো না, তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

  • শ্যামনগরে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুমের বিরুদ্ধে প্রদর্শনীর প্রকল্পের টাকাও কৃষি পন্যে বার্নিজ্যের অভিযোগ উঠেছে