ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানায় বুধবার (২৩ জুলাই) বিএনপি নেতা কতৃক গণঅধিকার পরিষদের নেতা হেনস্থার স্বীকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানাযায়,গভির রাতে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ আ.লীগের ৩কর্মিকে গ্রেপ্তার করে। হরিপুর থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে রাণীশংকৈল থানা হেফাজতে রাখে। এতে হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী একালার শিহিপুর গ্রামের বদিউর জামানের ছেলে আসামি রুহুল আমীনকে বিনা অপরাধে এবং কোন মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করার কারণে গণধিকার পরিষদ রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলা শাখার কমিটির লোকজন মুক্তির দাবিতে থানায় অবস্থান নেয় । একপর্যায়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রিয় নেতা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা সম্পাদক জাফর আলী পুলিশের সঙ্গে তর্কবির্তকে জড়িয়ে পড়লে বিএনপির লোকজন এসে হাজির হয়। এনিয়ে উভয় পক্ষে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় থানা অফিসার ইনচার্জ আরশেদুল হক হট্টোগোলটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা থানা থেকে সটকে পড়ে। এরপর থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন-হরিপুর উপজেলার শাহারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে আব্দুল্লাাহেল কাফি (৪৭) শিহিপুর গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে রুহুল আমীন (৪৪) বড়ুয়াল গ্রামের রফিকুলের ছেলে নাঈম ইসলাম (২৬) ও আমগাঁও গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে তহিদুল (২৫) রাণীশংকৈল উপজেলার খঞ্জনা গ্রামের মৃত খেজমত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৩৪) নেকমরদ গÐগ্রাম গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে দবিরুল ইসলাম (৬৫) একই এলাকার দবিরুলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫) ।
গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রিয় নেতা মামুনুর রশিদ বলেন, হরিপুর থানা পুলিশ রুহুল আমিন নামে একজন নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। তিনি আরো বলেন,রাণীশংকৈল থানা এখনো সেই ফ্যাসিস্টদের মতোই চলছে আরেকটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যা আমি নিজেই থানায় গিয়ে হেনস্থার স্বীকার হয়েছি।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আরশেদুল হক বলেন, হরিপুর থানার আসামিদের ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই। তবে রাণীশংকৈল থানার ৩জন কে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এবিষয়ে হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি জাকারিয়া মন্ডল মুঠো ফোনে বলেন, গ্রেফতারকৃত ৪জন আসামি আওয়ামীলীগ নেতা তাদেরকে মারামারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।