আন্তর্জাতিক ডেস্ক.
ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন পরীক্ষা। ক্ষতিবিদ্রোহীদের হৃদয়ে জ্বলছে আগুন। উত্তাল পৃথিবী শুনেছে ওদের গর্জন। ইসরাইলের অধিকৃত মধ্যঞ্চলের সাইরেনের শব্দ ইয়েমেনের আঘাত হেনেছে তেল আবিবের নিকটবর্তী ইয়াফা শহরের একটি সামরিক ঘাটিতে। হুতি বিদ্রোহীদের ইসরাইল এবং তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য একটাই, ইসরাইলিরা যে গণহত্যা চালাচ্ছে তার প্রতিশোধ নেয়া। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, এই আক্রমণগুলো চালিয়ে যাবে যতদিন না গাঁজায় ইহুদিবাসী আগ্রাসন বন্ধ হয় এবং উপত্যকাটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এই প্রতিশোধের হুংকার ও শক্তির প্রদর্শন ইসরাইলকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
ইহুদিবাদী গণমাধ্যম জানিয়েছে মঙ্গলবার ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জের ধরে তের আবিবের বেনগুড়িয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। কিভাবে হুতিদের এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এতদূর পথ পাড়ি দেয়! ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী এখন এমন এক শক্তিতে পরিণত হয়েছে যা শুধুমাত্র তেল আবিবের আকাশে সাইরেন বাজানোর ক্ষমতাই রাখে না বরং মার্কিন বিমানবাহী রণতটিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। গাজায় যুদ্ধে আমেরিকা ইসরাইল ও ব্রিটেনের সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে ইয়েমেন যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে তা বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী যদি এই ধরনের হামলা চালাতে থাকে, তাহলে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরিণতি কি হবে!! ইসরাইলের আকাশ সীমা কখনোই এতটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যি ইয়েমেনের শক্তির সামনে অস্ত্র তুলে ধরতে হবে!! ক্ষতিরা যে কখনো নিরস্ত হতে রাজি নয় তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
এদিকে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র মোহাম্মদ আলী আল হুতি হুশিয়ারি দিয়েছেন, আমরা আমাদের সমুদ্রসীমার বাইরে পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। এর মানে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যদি মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোকে আঘাত করতে সক্ষম হয় তাহলে বিশ্ব যেন একটি নতুন যুদ্ধে ঢুকে পড়বে।
আমেরিকার যুদ্ধজাহাজগুলি ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার মুখে পালিয়ে গেছে তার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত যে তিনটি মার্কিন বিমানবাহী রণতী ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর হামলার মুখে পালিয়ে গেছে এগুলো হচ্ছে- ইউএস এব্রাহাম লিংকন, ইউএস আইজেন হাওয়ার ও ইউএস থিউডর রুজভেল্ড।
ইয়েমেনে আবার আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ার করে দিয়েছে ইয়েমেন। মোহাম্মদ আলী আল হুথি বলেছেন, যদি এই যুদ্ধজাহাজটি লোহিত সাগর ত্যাগ করে তবে এটি আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য বৈধ লক্ষ্য হবে।