সংবাদদাতা: দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে হৃদয় (২৫) নামের এক যুবককে তার বন্ধু রুবেল (৪০) নামের এক যুবক হত্যা করেছে। নিহত হৃদয় যাত্রাপুর গ্রামের ইমানদির বাড়ির জসিম উদ্দিনের ছেলে। ঘাতক রুবেল একই গ্রামের রানিপুকুর পাড়ের মৃত আব্দুর রহীমের ছেলে। স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, নিহত হৃদয় ও ঘাতক রুবেলের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। তারা দুজনই মাদকসেবী ও নানাবিধ অপরাধকর্মে জড়িত ছিল। হত্যার পূর্বে হৃদয়কে তার বাড়ি থেকে ডেকে রুবেল নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ির উঠোনে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হৃদয়কে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে উঠোনে ফেলে রুবেল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন হৃদয়কে উদ্ধার করে প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এব্যাপারে নিহতের পিতা জসিম উদ্দিন বলেন, সকালে আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল। কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ের জামাইয়ের ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় নেওয়ার পথে ভৈরব এলাকায় মৃত্যু বরণ করে। আমি এর বিচার চাই। তবে ঘাতক রুবেলের মা লালু বেগম জানান, আমার এই ছেলে মাদকাসক্ত, তার অত্যাচারে আমার পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বার বার পুলিশকে বলেও এর কোন প্রতিকার পায়নি। তার জন্য আমার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমি নিজে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন আছি। সে যেন জেল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে। আমি তার কঠিন শাস্তির দাবি করছি। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহম্মেদ জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তবে হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না। ঘটনার মূলহোতা রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলা রুজু করার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।