জনপ্রিয়

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 9 months ago

তারিফুল ইসলাম

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা ও শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক তানজিম নওসিন রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ নূরুল্লাহ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা, ইইই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কাজী খায়রুল ইসলাম, আইন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, সাংবাদিকতা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর মো. শাতিল সিরাজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মো. হাবিবুল্লাহ, ফার্মেসী বিভাগের প্রধান মোনালিসা মনোয়ার, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ড. রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক প্রফেসর মুহম্মদ নূরুল্লাহ বলেন, ‘কালেক্টিভ মেমোরির মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর কাজকে মনের মধ্যে ধারণ করেছি। জাতির পিতাকে নিয়ে এমন আয়োজনের ফলে সমগ্র জাতির মধ্যে একটি ঐক্য সূত্র গড়ে উঠছে। বাঙ্গালিদের উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তিনি অর্থনৈতিক সাম্যের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর অভাব অপূরনীয়। জাতির পিতার আদর্শে নতুন প্রজনন্মকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়তা করতে হবে।’ তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। বাংলাদেশকে জানতে হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবসময় বন্ধুসুলভ। তিনি সর্বদা সৎসাহসী, নির্লোভ-নির্ভীক ও নিরহঙ্কারী ছিলেন। নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখেছেন সোনার বাংলা গড়ার। তাঁর জন্ম হয়েছিলো বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সেই ইচ্ছে পুরন করা সম্ভব হবে।’