প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের প্রশ্ন করায় রেগে গেলেন কুড়িগ্রামের জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi JM TV
প্রকাশ: 36 minutes ago

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সারাদেশের মত কুড়িগ্রামের ৭৪ টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি। সাংবাদিকদের কাছে এই প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ শুনেই রেগে গেলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুনুর রশিদ। এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে উল্টো তিনি সাংবাদিকদের তোপের মুখে ফেলেন জানতে চান তারা ( সাংবাদিকরা) ইঞ্জিনিয়ার কী না।
আজ ১৬ জুলাই ( বুধবার) কুড়িগ্রাম জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কালের কণ্ঠের উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি তামজিদ হাসান তুরাগ এবং দৈনিক জনকণ্ঠ ও এটিএন নিউজের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন লিটনের সাথে এমন আচরণ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী। প্রশ্নের জবাব না দিয়ে খোঁড়া যুক্তিতে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেন তিনি। এসময় তাকে নিবৃত করার জন্য সেখানে উপস্থিত হন কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্যের প্রাক্কলনিক মোঃ মনিরুজ্জামান।

স্থানীয় সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন লিটন জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের ৭৪টি ইউনিয়নে যে ল্যান্টিন গুলো বানানো হচ্ছে তা নিয়ে অনুসন্ধানী কাজ করছি। সেখানে নির্মাণ ও বিতরণের পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের অভিযোগ করেছে। সে বিষয়ে আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাই তিনি এসব বিষয়ে অবগত আছেন কী না। তিনি আমাদের প্রশ্নশুনে রেগে যান। ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি নন বলে জানান তিনি। সাংবাদিক তামজিদ হাসান তুরাগ বলেন, ‘ আজ যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দু:খজন। আমাদের কাজ অভিযোগের বিষয়ে কর্তপক্ষকে জানানো এবং তা সংবাদযোগ্য তা প্রকাশ করা কিন্তু তিনি ( নির্বাহী প্রকৌশলী) আমাদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলেননি। উল্টো আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। তিনি খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন ‘ কর্তপক্ষের অনুমোদন লাগবে।’
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে কর্তপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন কী না এমন প্রশ্নের জবাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (রংপুর সার্কেল) মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ উন্নয়ন কাজের তথ্য উপাত্ত সাংবাদিকরা জানতে চাইতেই পারে। এখানে বলতে কর্তপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন তেমন নেই। যদি না সেটা খুবি জনগুরুত্বপূর্ণ হয়। আর অনিয়মের প্রশ্ন উঠলে প্রয়োজন সেটা তদারকি করা। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই আমরা উন্নয়ন কাজগুলো প্রচার করি।’

‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী মো. তবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘ প্রকল্প গুলো তদারকি করার জন্য আমাদের জেলা ও উপজেলা সমন্বয়কারীরা রয়েছেন তারা প্রকল্পগুলো দেখভাল করছেন। তার বাইরে জেলার জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলীরা আছেন। আপনাদের সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছি সে বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি নিয়ে আমি কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবো।’

  • প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের প্রশ্ন করায় রেগে গেলেন কুড়িগ্রামের জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী