পঞ্চগড় প্রতিনিধি
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন সীমান্ত দিয়ে চোরা চালান বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালান বন্ধের লক্ষ্যে পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় ৫৬ বিজিবি কর্তৃক চলাচালান বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে জনমনে থাকা কৌতুহল দূর করতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিজিবি।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন নীলফামারী ব্যাটেলিয়ন ৫৬ বিজিবি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তবর্তী এলাকার চোরাচালান দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ অক্টোবর বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তত্ত্বের ভিত্তিতে পঞ্চগড় সীমান্তে ১নং অমর খানা ইউনিয়নের মহারাজা দিঘী এলাকায় জৈনিক নাজমুলের বাড়িতে চোরাচালানের অবৈধ ছয়টি গরু আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ সাইদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে বিজিবি’র একটি আভিযনিক দল অভিযান পরিচালনার জন্য রওনা হয়।
মোঃ নাজমুল ইসলামের বাড়িতে যাওয়ার প্রাক্কালে বিজিবি জানতে পারে, বিজিবি সদস্যদের আসার খবর পেয়ে তারা চালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা গরু ৬টি শুকৌশলে বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। যে কারনে বিজিবি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকে এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার মোঃ সাইদুল ইসলাম এর কাছ থেকে ঘটনার উপর লিখিত নিয়ে বিজিবি সদস্যগণ বিওপিতে ফিরে যাওয়া শুরু করেন।
প্রতিমধ্যে মোঃ নাজমুল ইসলাম এবং জৈনিক মোঃ আবু মায়েত মুকুলকে সাথে নিয়ে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি সহ অন্যান্য প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন উশৃংখল জনতা বিজিবি টহল দলকে সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা প্রদানের চেষ্টা করে। উল্লেখিত নাজমুল ইসলাম, মোঃ মুকুলের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন চোরাকারবারি এবং মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্নপোষকতা প্রদান ও সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে, বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বিজিবি জানতে পারে। এ ঘটনাকে পুঁজি করে পরবর্তীতে বিজিবি সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালানের চেষ্টা করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। বিজিবি’র নামে অপপ্রচার। তবে পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যগণ কর্তৃক ইতিবাচক ভূমিকা পালনের ফলে সীমান্তে বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে মর্মে বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়ছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, নীলফামারী ব্যাটালিয়ন ৫৬ বিজিবি পঞ্চগড় জেলা সীমান্তে মোতায়েনের পর থেকে সীমান্তে চোরাচালান রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে। যে কারণে নীলফামারী ব্যাটালিয়ন ৫৬ বিজিবিকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নেপথ্যে থাকা কারন গুলো সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উদঘাটন পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান অনেকেই।