মোঃ শেখ ফরিদ স্টাফ রিপোর্টার
পঞ্চগড়ে নিজের ১৫ বছর বছরের কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা সাইফুল ইসলাম (৪৯) কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক বি. এম তারিকুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পরিদর্শক মো.জামাল হোসেন।দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামে। তিনি সেখানকার মৃত আখিম উদ্দীনের ছেলে। এর আগে,২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।মামলাটি তদন্ত করেন সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার। তিনি গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। তাদের দাম্পত্যে ৫ জন সন্তান রয়েছে। সাইফুল দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগষ্ট মাসের দিকে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন বাদীনি। তার সঙ্গে থাকে ভিকটিম মেয়ে ও ছোট দুই ছেলে।গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার বাড়িতে যায় ভিকটিম মেয়ে। সেখানে বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতযাপন করে। বিয়ে অনুষ্ঠানের তিনদিন পর (২৪ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের সৎ মা কোথাও বেড়াতে যায়।এই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার ঘুমন্ত মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন । এতে ভিকটিম মেয়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে বলে জানান।