মোঃ রেজাউল করিম খান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
অতিরিক্ত টাকা না দিলে খাজনা, খারিজ বা নামজারি কোনো কাজই হয় না। হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভেতর ও বাইরে বছরের পর বছর দালাল চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী নন। তারপরও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভেতরেই চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছেন মাসের পরে মাস কাগজপত্র খারিজের কাজ করছেন নায়েবের আপন শ্যালক,,কনক,, সহ অনেকেই। সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়ন অফিসে শুধু নায়েবের শ্যালককি নন, তার মতো আরও গুটি কয়েক দালাল মালিক মিয়া,বাবলু,সহ আরও অনেকেই বসে আছেন। যারা কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জমির খাজনা, খারিজ, নামজারিসহ যে কোনো কাজেই অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় এসব ব্যক্তিদের। হাটিকুমরুল ভূমি অফিসে নায়েব ও তার শ্যাকল, কনক, নাজমুলসহ ও দালালদের রাজত্বে: ভোগান্তি পহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ভুক্তভোগীরা বলছে, খাজনা খারিজ করতে সরকারের বেঁধে দেওয়া নিধারিত বিল থাকলেও । সে কাজ করতে আমাদের কাছ থেকে আরও অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে প্রায় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এ অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা টাকা লেনদেন না করলে কাজ করছে না। আমরা দালালমুক্ত ভূমি অফিস চাই। তবে, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই সরকারি অফিসে কাজ করছেন বলে জানান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। অভিযুক্ত ব্যাক্তির বলছেন ‘আমরা সার্ভেয়ার হিসেবে অফিসের কাগজপত্র তৈরি করে দেই। আমার নিয়োগ নেই, এসিল্যান্ড সারের অনুমতি নিয়ে এখানে কাজ করছি।’ ঘুষ ছাড়া কাজ না হওয়ার অভিযোগ হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এসব অনিয়ম বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এসব বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যাতে এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভূমি অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার না হয়। হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভুমি সহ কারী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আহামেদ বলেন খাজনা খারি করতে কোন টাকা ঘুষ লেনদেন করেন তিনি বরং তিনি বলেন আমি হাদিয়া নিয়ে মসজিদ বা মাদ্রাসায় দান করি। হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিওন নাজমুল হোসেন। তিনি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে চাকরি করছেন, কোথাও বলদি না হওয়ার কারনে তিনি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন আর তিনি এই চার বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কয়েক অর্থ কোটি টাকা, এবং তিনি বিলাশ বহুল ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তার জীবন যাত্রা। এযেনো মেঘ না চাইতেই বিষ্টি। এই নাজমুল হোসেন এর নামে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীরা বলছে আমাদের কে এই নাজমুল হোসেন প্রতিনিয়তই হয়রানি করছে,একবার বলছে আজ নেট নেই, আবার বলছে সার্ভারে সমস্যা, আবার বলছে অফিসে কাগজ পাঠিয়েছি পরে আসবেন, আরও বলছে আপনার আবেদন বাতিল হয়েছে এরকম প্রতিদিনই একটা না একটা অজুহাত দিচ্ছে অফিস পিওন নাজমুল হোসেন । আবার নাজমুল হোসেন টাকা পেলেই অতি দ্রুতই কাজ করে দিচ্ছে প্রতিদিন হাতাচ্ছ লক্ষ লক্ষ টাকা। তাই স্থানীয় জনসাধারণের দাবী এমন অফিস পিওন এই অফিসে না থাকায় ভালো আমাদের প্রতিদিন হয়রানি করছে যার ফলে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এবিষয়ে কথা বললে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আহামেদ বলেন, আমার শালা ছিলো কিন্তু তাকে আমি পাঠিয়ে দিয়েছি সে আর আসবেনা, দালাল চক্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতদিন ছিলো কিন্তু তাদেরকেও আমি বের করে দিছি, অবৈধ টাকা নেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন আমি টাকা নেই না শুধু মসজিদ মাদ্রাসার জন্য হাদিয়া নেই। উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খাদিজা খাতুন বলেন, আমার জানামতে বহিরাগত লোক নেই, ও অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে বললে তিনি আরও বলেন, যদি এরকম কোন কিছু থাকে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যাবস্থা নিবো। এবিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে আমি অবহিত হোলাম আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবো।