মোঃ হাবিব ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আর মাত্র দুই দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ সময়ে ঠাকুরগাঁও জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ পশুর হাটে প্রচুর গবাদিপশু উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে যেন তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। হাটে মাঝারি পশুর চাহিদাই বেশি। একই চিত্র জেলার খোচা বাড়ি, লাহিড়ী সহ বেশ কয়েকটি হাটে।মাদারগঞ্জ হাটে বড় সাইজের গরু বিক্রি করতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার গরুটার ওজন ৮-৯ মণ হবে। দাম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ক্রেতারা দামই বলছেন ২লাখ ৮০ হাজার টাকা। শুধু দাম বলছে আর দেখে দেখে চলে যাচ্ছে আর অন্য গরুগুলো দাম করছে। কিন্তু এটা কেনার মতো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছি না।মাদারগঞ্জ হাটের গরু ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি গরু। এ হাটে ৫০-৯০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কেনাবেচা হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের কিছুটা হলেও অভাব যাচ্ছে। আগে আমরা ২ লাখ থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত গরু বিক্রি করতাম কোরবানির সময়ে। এখন লাখ টাকার ওপরে ক্রেতা সেরকম পাওয়া যায় না। অর্থ মন্দা যাওয়ায় এলাকার মানুষেরা মাঝারি সাইজের গরুই কিনছেন।ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির পশুর দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। যে গরুর দাম ৫০ হাজার টাকা সেই গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৯০-৯৫ হাজার টাকা।গরু কিনতে আসা আনোয়ারুল হক জানান, ৮৭ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনলাম। দাম কিছুটা বেশি মনে হয়েছে। হাটে প্রচুর গরু উঠলেও দালালদের কারণে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।মো. মিনহাজ আলম নামে একজন ক্রেতা বলেন, ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানির জন্য গরু কিনলাম। অর্থনৈতিক মন্দা থাকায় তিনজনে ভাগে গরুটা কিনলাম। কামাল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ১২ হাজার টাকা দিয়ে খাসি কিনলাম। প্রচুর ছাগল উঠেছে হাটে।খাদ্য ও ওষুধের দামের পাশাপাশি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।এদিকে হাট ঘুরে ভারতীয় কোন পশু উঠেছে কীনা তা সন্ধান করলে চোখে পড়েনি তেমন একটা। তবে একটি সূত্র বলছে, হাটে আগের মতো অবৈধপথে আসা গরু তোলা হয় না। অবৈধপথে আসা গরু সরাসরি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।