মোঃ আবদুর রহিম সোহেল
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে। এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। গতকাল রোববার দুপুর থেকে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। আজ সোমবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখনো তা অব্যাহত আছে। এই বৃষ্টিতে আজ সোমবার সকালে নগরীর নিচু এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পানি উঠা শুরু করে। সকালে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলির ফুটপাত রাস্তাঘাট ডুবে যায়। মানুষের বসতবাড়ি ও সহ দোকানপাট ডুবে যায়। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী-ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতায় দ্বিতীয়বারের মতো ডুবেছে। এতে সকালে অফিসগামী ও কর্মজীবী মানুষ জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল কম বললেই চলে। যেসব যানবাহন চলাচল করছে সেগুলোতে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের মন্তব্য। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এমএইচএম মোসাদ্দেক সমকালকে জানান, সকাল ৯ঃ ২২ ঘটিকায় সময় জোয়ার শুরু হয়। ভাটা শুরু হবে বিকেল ৩ঃ১৬ ঘটিকায় সময়। গত ২৪ ঘন্টায় ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও তিন থেকে চার ঘণ্টা এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা। আজ সোমবার সকালে সময়ের ডাক, Jarnal WeB BD,Vision stv,সহ পত্রপত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিক মোঃআবদুর রহিম সোহেল এর প্রতিবেদনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিরাবাদ, নগরীর তিনপুলের মাথা, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেইট, ডিসি রোড, আগ্রাবাদ, হালিশহর, কে বি আমান আলী রোড, বাকলিয়া, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, মেহেদীবাগ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, প্রবর্তক মোড়, ফ্রি পোর্ট, বন্দরটিলা জ্বালিয়া পাড়া – কারিমিয়া মাদ্রাসা গলি( রিয়াদ রিক্সা গ্যারেজ) সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পানি উঠেছে। কোনো কোনো জায়গায় কোমর পানিও জমেছে।