সংবাদদাতা : দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুন রহমানসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও উত্তেজনা।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে চলতি মাসের ৩ জুলাই, যখন সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান মহাসড়কে আটক করে দায়িত্বরত টহল পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, অবৈধ পণ্য পরিবহনের অজুহাতে পুলিশ সদস্যরা ভ্যানচালকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। বিষয়টি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (১৪ জুলাই) ওসি মামুন রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিপ্লু বড়ুয়া, এবং কনস্টেবল মো. সাহাবুদ্দিন, মো. মস্তু, সাকিবুল ও মো. জহির মিয়াকে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা থেকে প্রত্যাহার করে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বর্তমানে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন এসআই মো. সজীব মিয়া। তিনি বলেন, “ঘটনার পর থেকে আমি দায়িত্বে আছি। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছে।”
স্থানীয় সচেতন মহল ও যানবাহন চালকরা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, মহাসড়কে নিরাপত্তার বদলে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।