দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ। বিজয়নগর উপজেলাস্থ চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় তাহেরির ভক্তরা হামলা করে পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিন তাহেরি বিল দিয়ে পালিয়ে গ্রেফতার থেকে রক্ষা পান।
এব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, বিনা অনুমতিতে গিয়াস উদ্দিন তাহেরির একটি মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও তাহেরির বিরুদ্ধে আখাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মাহফিল থেকে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে একটি বাড়িতে তিনি ঢুকে পড়েন। সেখান থেকে পেছনের একটি বিল দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় ভাঙচুর করা হয় পুলিশের তিনটি গাড়ি। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে গত ১৩/১২/২৪ ইং রোজ শুক্রবার আখাউড়া উপজেলাস্থ মুগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ এলাকায় বিনা অনুমতিতে গিয়াস উদ্দিন তাহেরির একটি মাহফিলের আয়োজন করা হলে সেখানে পুলিশ গিয়ে দ্রুত মাহফিল শেষ করার কথা বলেন। এসময় ভক্তবৃন্দ কর্তৃক হামলায় বাবুল নামের পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) মাথা ফাটানোর ঘটনা ঘটে এবং মাহফিল থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় আহত এসআই বাবুল তাহেরিকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ মামলা করলে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিলাখাদ গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মুস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০) ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিল চলছিলো। বিনা অনুমতিতে চলতে থাকা এই মাহফিলে তাহেরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির পাঁয়তারা করছিলেন। খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নে দায়িত্বরত বিট অফিসার এসআই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া ফোর্স নিয়ে সেখানে যান। এসময় তাহেরি পুলিশকে নিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে তাহেরি বলতে থাকেন, আমার সব মাহফিলে পুলিশ বাধা দেয়। এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা সুন্নি জনতা কাউকে আর ছাড় দেবো না।
এরপরই লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ হয় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।