গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের সদরে বিভিন্ন এলাকায় মহল্লায় পাড়ায় গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মত কোচিংবাজ শিক্ষক ও অবৈধ কোচিং সেন্টার। এতে করে নির্বিঘ্নে চলছে রমরমা কোচিং ব্যাণিজ্য। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় কিংবা কলেজে শ্রেনীতে যথারীতি পড়াশুনা না করে কোচিং সেন্টার নিয়ে রীতিমত ব্যস্ত থাকলেও অভিভাবক বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন তদারকি নেই বললেই চলে।
শিক্ষা ক্ষেত্রকে কতিপয় ব্যক্তি ব্যাণিজ্যিক হিসাবে বেছে নিয়ে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
বর্তমানে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় অনেক কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। তম্মধ্যে অধিকাংশই গোপালগঞ্জ সদর এরিয়া সংলগ্ন রয়েছে।
প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার কারণে প্রতিটি কোচিং সেন্টারে চলছে রমরমা শিক্ষা ব্যাণিজ্য।
এক একটি কোচিং সেন্টারে স্কুল কলেজের শ্রেনী কক্ষের মত বহু ছাত্র ছাত্রী পড়াশুনা করছে। যা বিদ্যালয়কে ও হার মানায়। আর এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ শিক্ষক, পড়ুয়া ছাত্ররাই শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয় বা কলেজের শিক্ষকরা তাদের কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তি জন্য পরীক্ষা ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকার কারণে বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ ছাত্রীরাই কোচিং সেন্টারে পড়াশুনায় ঝুঁকিয়ে পড়ছে ।
সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো খোলা থাকতে দেখা গেছে। অভিজ্ঞ মহল মতে মন্ত্রনালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে স্কুল, কলেজ কিংবা মাদ্রাসার শিক্ষার গুণগত মান কমিয়ে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, নীতিমালা না থাকায় এলাকায় কোচিং সেন্টার দিনদিন বেড়েই চলছ গোপালগঞ্জ সদরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, গোপালগঞ্জ শহরে একটি কোচিং সেন্টারের আমার মেয়েকে ভর্তি করিয়েছি। মাস শেষ হবার আগেই মোটা অংকের বেতন,প্রতি এক সপ্তাহ পর অন্তর অন্তর পরীক্ষার ফি সহ বিভিন্ন ফি দিয়েও ওই মেয়েকে পড়াতে হয়। শহরের সকল স্কুল কলেজের শিক্ষকরাই কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন।কোচিং সেন্টার বন্ধ না হলে অভিভাবকদের জীবন শেষ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও শিক্ষামন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করেন সচেতন মহল।