গল্পের: “আশরার—রাত্রির শিকারি”

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 5 hours ago

নায়ক: আসিফ মাহমুদ

প্রস্তাবনা:

১৮৭৯ সাল। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের শেষের সময়। ঢাকার পাশে একটি পুরনো শহর—চন্দ্রবিল। শহরটি বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন, কুয়াশাচ্ছন্ন, রাতের বেলায় অদ্ভুত আওয়াজে ভরে ওঠে। সেখানেই ফিরে আসে আসিফ মাহমুদ—একসময়কার ব্রিটিশ গোয়েন্দা, বর্তমানে এক রহস্যময় অতিপ্রাকৃত শিকারি।

মূল কাহিনি:

আসিফ মাহমুদ দীর্ঘদিন ইউরোপে ছিল, সেখানে একটি গোপন সংগঠন—“আর্কের শপথ”-এর সদস্য ছিল। এই সংগঠন মানুষের চোখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অশুভ প্রাণীদের নিধন করত। কিন্তু এক অভিযানে তার দল নির্মূল হয়ে যায়, আর আসিফ কিছু হারিয়ে আসে—নিজের স্মৃতি।

তাঁর মাথায় একটি রহস্যময় দাগ, যেন কোনো প্রাচীন সিলমোহরের ছাপ। হঠাৎ এক রাতে সে একটি চিঠি পায়—“চন্দ্রবিলে ওরা জেগেছে। তোমার ফিরে আসা দরকার, আসিফ।”

চন্দ্রবিলে এসে সে দেখে, শহরের মানুষ ভয়ানক রকম নিঃস্তব্ধ। রাত নামলেই মানুষ উধাও হয়। একটি প্রাচীন রাজবাড়ি—সারানদ্দো হাভেলি—স্থানীয়রা বলে, ওখানেই ‘আশরারা’ ঘুমিয়ে ছিল।

আশরারা—এক দল অর্ধ-অমর দানব, যারা মানুষের ভয় থেকে শক্তি নেয়। এরা রূপ বদলায়, স্মৃতি চুরি করে, এমনকি মানুষের ছায়াকেও হত্যা করতে পারে। এক সময় তারা封বন্দি ছিল, কিন্তু ব্রিটিশদের খননকাজে সিল ভেঙে যায়।

আসিফকে সাহায্য করে:

রায়া, এক স্থানীয় ইতিহাসবিদ, যার দাদার ডায়েরিতে আশরারার কথা লেখা ছিল।

রুহান, এক অন্ধ বালক যার চোখে ভবিষ্যতের ঝলক দেখা যায়।

আসিফের অতীত ও আসল পরিচয়:

আসিফ ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, সে আসলে মানুষ আর দানবের মাঝে এক সেতুবন্ধন। আশরারাদের প্রথম শিকারি “জুহান মাহমুদ” ছিল তার পূর্বপুরুষ, এবং সেই সিলমোহর তার রক্তের ভেতরে। ওদের শেষ করার ক্ষমতা তার ভেতরেই রয়েছে—কিন্তু তার মূল্য নিজের আত্মা।

ক্লাইম্যাক্স:

আশরারাদের নেতা, নামহীন, যার মুখ নেই—সে আসিফের স্মৃতি চুরি করে নিয়েছিল, যাতে সে নিজেকে ভুলে যায়। কিন্তু রুহানের সাহায্যে আসিফ তার আসল স্মৃতি ফিরে পায় এবং বুঝে, তার ভয়ই আশরারাদের শক্তি দেয়।

শেষ যুদ্ধে, আসিফ নিজের ভয়কে অস্বীকার করে, নিজের রক্তের মাধ্যমে প্রাচীন শিকল ভাঙে এবং নামহীনকে চিরতরে আবদ্ধ করে আত্ম-ভেদী আলোর ঘূর্ণিতে।

শেষ দৃশ্য:

চন্দ্রবিল আবার শান্ত। কিন্তু শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, রাজবাড়ির নিচে থাকা এক ভাঙা আয়নায় ধীরে ধীরে এক নতুন ছায়া গড়ে উঠছে…

  • গল্পের: “আশরার—রাত্রির শিকারি”