পরিবার ছাড়া মানুষ অসামাজিক হয়ে ওঠে, আর পরিবারের ছায়া হয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারাও পরিবার ছাড়তে পারছেন না। তাইতো এবার খালাতো বোনের বিয়ে খেতে গিয়ে পুলিশের হেফাজতে ছাত্রলীগ নেতা। এর আগে ঢাকায় বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আরেক ছাত্রলীগ নেতাও গ্রেপতার হন। ক্ষমতাচুত হওয়ায় আত্মগোপনে থাকা এসব নেতাদের কাল যেন বিয়ের দাওয়াত।
জুলাই আগস্টের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নির্দেশে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীরা। এরপর আওয়ামী সরকারের পতন হলে দেশে ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তী সরকার। আর নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ।
এবার শাহজাহানপুর উপজেলার বি ব্লক এলাকায় বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে সাধারণ জনতার কাছে ধরা পড়েন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা। গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম গোলাম গাউস লিমন। তিনি বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চুরি, অবৈধ মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও শাহজাহানপুর থানা পুলিশের ওপর হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলায় আটক হন লিমন। নিজের খালার বাড়িতে খালাতো বোনের বিয়ে খেতে এসেই ধাক্কায় পড়েন ছাত্রলীগের এই নেতা। ৫ আগস্টের পর থেকেই লিমন পলাতক ছিলেন বলে জানা যায়। পলাতক এই ছাত্রলীগ নেতা দাওয়াত খেতে খালার বাড়িতে প্রবেশ করার বিষয়টি আশেপাশের সাধারণ জনগণ জানতে পারলে সাথে সাথে ওই বাড়ি ঘেরাও করে ফেলা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় পুলিশকে লিমনের উপস্থিতির ব্যাপারে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অবশেষে সাধারণ জনতার সহায়তায় ছাত্রলীগ নেতা লিমনকে গ্রেপতার করে পুলিশ। এর আগে ২৩ ডিসেম্বর একইভাবে বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে নোয়াখালী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান পুলিশের কাছে আটক হন, সেবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।