শিমুল হোসাইন
সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ পটুয়াখালী আজ বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা। অথচ ১৫ বছর আগেও এই এলাকায় দেশী বা বিদেশী কোন পর্যটক আকৃষ্ট করার মতো কোন অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা ছিলোনা। গত ১৫ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সেই দৃশ্যপট আজ বদলে গেছে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আজ কুয়াকাটায় বিদ্যুৎ ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে গেছে, যোগাযোগের জন্য পদ্মা সেতু ও পায়রা সেতুসহ আধুনিক সড়ক ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে এবং নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য এখানে সকল বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, পাশাপাশি পর্যটকদের সেবায় পৃথকভাবে ট্যুরিস্ট পুলিশও নিয়োজিত আছে এখানে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সারাদেশে পৌঁছে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৯৮% স্থলভাগ এখন ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় চলে এসেছে। বাকি দুর্গম চর ও দ্বীপ এরিয়াগুলোকেও আমরা পর্যায়ক্রমে সাবমেরিন ক্যাবল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের নেতৃত্বে এই যুগান্তকারী বিপ্লব সাধিত হয়েছে বলেই বর্তমানে আইসিটি আমাদের অন্যতম রপ্তানি শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আইসিটি খাতে ২০ লক্ষাধিক তরুণের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে এবং প্রায় ৬.৫ লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার দেশের মাটিতে বসে আউটসোর্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। আগামীর সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজব্যবস্থা, ও স্মার্ট সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে মেরুদন্ড হিসেবে কাজ করবে ইন্টারনেট। তাই আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুলভ মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির যে ভূমিকা রাখা দরকার তা আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারবো এবং ইন্টারনেট হবে আগামীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্যসহ সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু। আজ শনিবার সাবমেরিন ল্যান্ড ষ্টেশন ও কুয়াকাটা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।