আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ঔষধের দোকান মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে অবৈধভাবে বিক্রি করছে, এল পি গ্যাস সিলিন্ডার। সরকারের বেধে দওয়া নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে করছেন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসার আড়ালে নিজেদের বিভিন্ন গোডাউনে অবৈধভাবে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে পানি বালি মাধ্যমে রিফিল করছেন অবৈধ ব্যবসায়ীরা, এতে করে প্রতনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সকল অবৈধ দোকানে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নেই কোন তদারকি, ফলে সুবিধাবাদি অসৎ ব্যবসায়িরা নিম্ন মানের সিলিন্ডার বিক্রি করে বলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা । সুত্র মতে জানাযায় আশুলিয়ার নরসিংহপুর বটতলা আফজাল সুপার মার্কেটে আব্দুল করিমের ওরফে গ্যাস করিমের অবৈধ গ্যাসসিলিন্ডারের গোডাউনে গ্যাস টুনিং রিফিলি করার সময় গ্যাসসিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এসে আগুন নিভায়। আগুনের জ্বলসানিতে পাশের মার্কেট গুলোর বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উক্ত অগ্নিসংযোগ এর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। উক্ত এলাকার সচতন মহল জানায় প্রতিনিয়ত বড় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছোট গ্যাস সিলিন্ডার গ্যাস টুনিং রিফিল করে। আমরা বাধাদিলে আমাদের সাথে খারাপ আচারন করে,এবং আমাদের কে চাঁদাবজি মামলার হুমকি দেয়। এছাড়াও উক্ত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাবসায়িদের বিরুদ্ধে রয়েছে, সিলিন্ডারে বালি পানি ভরে অল্প গ্যাস ঢুকিয়ে বাজার জাত করার অভিযোগ। এ সকল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে, এছাড়াও আশুলিয়ায় অবৈধভাবে নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করার ফলে আশুলিয়ার দূর্গাপুর চালাবাজার এলাকার একটি দ্বিতলা ভবনের নিচতলার বাসার সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণের আগুনে পাঁচ বছরের শিশুসহ এক দম্পত্তি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন: মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (৫)। জাহাঙ্গীর একটি ওষুধ কারখানায় এবং তার স্ত্রী একটি চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় চাকরি করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান। দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সূর্য বানু (৫৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল রানা (৩৮), সুমন মিয়া (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুরাহা (৩)। এ ছাড়াও উক্ত এলাকায় এ ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কতৃপক্ষের নজরদারি না থাকার কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়িরা নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডারে নিজেরাই বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে টুইনিং করার সময় ঘটে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। অপর এক সূত্রে জানা যায়, ডিপুর গ্যাস ব্যবসায়িরা ইনসুরেন্স করে রেখে নিজেদের ডিপোতে গ্যাস টুই নিং করার সময় আগুন লাগিয়ে দেয় ইনসুরেন্সের টাকা পাওয়ার লোভে। আশুলিয়ার নরসিংহপুর বটতলা আফজাল সুপার মার্কেটে ফজলুর করিমের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের এরকমই ঘটনা ঘটেয়িছেন, বলে দাবি এলাকাবাসীর। গ্যাস করিম সাদামনে সাংবাদিকদের জানায় আগুন লাগাতে আমার কোন লছ নেই। কারন আমার ইনসুরেন্স করা আছে, আমার যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি আমাকে ক্ষতিপূরণ দিবে। সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নজরদারি বাড়ানো সহ প্রতিনিয়ত অভিযান করলে দূর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। এর আগেও এই টুইনিং রিফিল দূর্ঘটনায় অনেক নিহত হয়েছেন, আশুলিয়ার জামগড়া তেঁতুল তলা এলাকার গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসায়ী বিল্লাল সহ তার ৩ সহযোগী এবং সহযোগীর এক শিশু গ্যাস সিলিন্ডারের অগ্নিকাণ্ডে দীর্ঘদিন বার্ন ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।