জনপ্রিয়

আজ থেকে শুরু হয়েছে চিলমারীতে অষ্টমী পূজা

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 8 months ago

আমীনুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে আজ থেকে (১৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার) সনাতন ধর্ম অনুসারীদের অষ্টমী স্নান চলছে উৎসবের আমেজ। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্নান উৎসব কমিটির শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। স্নান উৎসবে অংশ নেবেন পাঁচ লাখের বেশি পুণ্যার্থী। সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আসতে শুরু করেছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র তীরের আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তীর্থযাত্রীদের আশ্রয়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এবার গোসলের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের রমনা ঘাট ও জোড়গাছ ঘাটের মধ্যবর্তী নন্দীর মোড় এলাকায়। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের 2 কিলোমিটারেরও বেশি জুড়ে উৎসবটি উদযাপিত হবে। চাঁদা বন্ধে বাড়তি নজর রাখতে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত কোথাও কোনো যানবাহন থামলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন থানার ১৪০ জন পুলিশ সদস্য। স্নান উৎসব কমিটি জানায়, এ বছর চিলমারীতে ৫ লাখের বেশি ভক্ত স্নানে অংশ নেবেন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সারাদিন স্নান চলবে। তবে মূল স্নান হবে আজরাত ভোর ৪টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। এবার কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে ১৪০ জন পুলিশ সদস্য থাকবেন। কমিটির পক্ষে ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক সহায়তা করবেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য 30টি টয়লেট, জল সরবরাহের জন্য 20 টি নলকূপ, পোশাক পরার জন্য 70টির বেশি বুথ থাকবে। এছাড়া তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কন্ট্রোল রুমে একটি মেডিকেল টিম থাকবে। স্নান উৎসব কমিটির সদস্য সচিব কর্ণধর ভার্মা জানান, আজ সন্ধ্যা থেকে স্নান শুরু হবে। স্নান উৎসব সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তীর্থযাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তাই পুলিশ প্রশাসনের সাথে যারা আছেন তারা এই সময়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি। পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন চন্দ্র বর্মণ জানান, দূরদূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে স্নান উৎসবে পুলিশ সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবে। এর মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে আপনি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য বা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করবেন। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় মনিটরিং ও তদন্ত করছি। যাতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে নিরবচ্ছিন্নভাবে অষ্টমী স্নান হয়। এছাড়া রাস্তায় টোল নেওয়া হলে প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

  • আজ থেকে শুরু হয়েছে চিলমারীতে অষ্টমী পূজা