জনপ্রিয়

অ্যাম্বুলেন্স এর ড্রাইভার আসতে দেরি হওয়ায় স্বয়ং চেয়ারম্যান নিজেই হয়ে গেলেন অ্যাম্বুলেন্স এর ড্রাইভার

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 3 months ago
৪ নং শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম

মোঃ শেখ ফরিদ, স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড়

নির্বাচনী সময়ে ইশতেহার দিয়েছিলেন তিনি যদি নির্বাচনে জয়যুক্ত হতে পারেন তাহলে ৪ নং শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদে একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিবেন। নির্বাচিত হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছেন। নির্বাচনের আগ থেকে চেয়ারম্যানের একটি পার্সোনাল প্রাইভেটকার ছিল সেটা দিয়েই বিভিন্ন সময় অ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে কাজ চালিয়ে নিয়েছেন। বলছিলাম ৪ নং শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের কথা । গত শনিবার রাত আটটার দিকে হঠাৎ তার কাছে একটি ফোন আসে জানানো হয় একটি শ্রমিক ট্রলিতে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। চেয়ারম্যান মহোদয় ড্রাইভার এর সাথে যোগাযোগ করেন ড্রাইভার আসতে দেরি হলে নিজেই ড্রাইভার সেজে ওই রোগীকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে গিয়ে রোগীর জন্য কথাবার্তা বলেন, এবং নিজে গিয়ে রোগীর বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে নেন সাথে থেকেই। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান ডাক্তার জানান এটার চিকিৎসা পঞ্চগড় সদরে হবে না। এটির একটি ভাল অর্থোপেডিক ডাক্তারের প্রয়োজন যা পঞ্চগড় সদরে এখন নেই। আপনার এই রোগীকে ঠাকুরগাঁও নিয়ে যেতে হবে। সাথে সাথেই রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে চলে চলে যান ঠাকুরগাঁও। চেয়ারম্যান মহোদয় ডাক্তার কে জানান এই রোগীর পরিবার খুব গরিব। একজন ডাক্তারের পক্ষে যতটুকু ছাড় দেওয়া সম্ভব সেটুকু ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান। ডাক্তারও তার কথায় নিরাশ করেন নি ,বলেছেন আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি ছাড় দিয়ে দিব। রোগীর সাথে যাওয়া আত্মীয়স্বজন জানান আমরা চেয়ারম্যানকে যখন ফোন দিয়েছি যেকোনো দরকারে সাথে সাথেই তার সাড়া পেয়েছি। যতই রাত হোক কিংবা ভোর যদি তাকে কেউ কোন কাজে ফোন দিয়েছেন। তার পক্ষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন । হাজির হয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। এবং রোগীর অ্যাম্বুলেন্স দরকার হলে , ড্রাইভার না থাকলে নিজেই ড্রাইভার সেজে রোগীকে যেখানে নিয়ে গেলে সুচিকিৎসা হবে সেখানে নিয়ে গেছেন। শুধু পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও নয় রোগীর প্রয়োজনে নিজের সাথে থেকে রংপুর পর্যন্ত রোগীর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। তারা আরো বলেন এরকম একজন চেয়ারম্যান পেয়েছি এজন্য আমরা ইউনিয়নবাসী সৌভাগ্যের দাবিদার। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে জানা যায় মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। তিনি আরো জানান আমি চেয়ারম্যান থাকি কিংবা না থাকি আমার কাছে কেউ যদি সাহায্যের দাবি জানান আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব। আমি ততটুক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।