ক্রিড়া প্রতিবেদক
১৯ বছরের এক যুবকের আত্মবিশ্বাসী সব শটে বুমরা যেমন বিচলিত হয়েছেন তেমনি বিশ্বয় চোখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কি বা করার ছিল রোহিত কোহলিদের। বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম সকালে এভাবেই নিজের আগমনী জানান দেন স্যাম কনস্টাস। দ্রুতগতির ফিফটি তে রেকর্ড বুকে নাম তোলা এই ওপেনার রীতিমত তুলোধন করছিলেন ভারতীয় বোলারদের। তার মনোসংযোগে ছিড় ধরাতে তখন ভিন্ন পন্থা বেছে নেন বিরাট কোহলি। ইনিংসের দশম ওভার শেষে মাঝ উইকেটে স্যামের কাঁধে ধাক্কা দেন ভিরাট। দুজনের মধ্যে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। পরিস্থিতি বুঝে দুজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন ওসমান খাজা। শেষ পর্যন্ত মাঠের দুই আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে মেলে সমাধান।
পুরো ঘটনায় কোহলিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ম্যাচের ধারাভাষ্যকার মাইকেল বন ও রিকি পন্টিং। মাইকেল ভন বলেন, ‘কোহেলি এই মুহূর্তের কথা মনে করে কখনোই গর্ব অনুভব করবে না। কনস্টাস শ্রেফ হেঁটে যাচ্ছিল। কোহেলিকে দেখুন সে তার পথের দিক পাল্টেছে। একজন কিংবদন্তী হিসেবে কোহেলি অবশ্য কৃতকর্ম নিয়ে ভাববে।’ রিকি পন্টিং বলেন, ‘বেশ কিছু এঙ্গেল থেকে ঘটনাটি দেখেছি। বলতেই হচ্ছে এসময় ভারতের ফিল্ডারদের কোন অবস্থাতেই ব্যাটারের ধারে কাছে যাওয়ার কথা নয়। বিরাট কিভাবে হেঁটেছে দেখুন তার ডানে পিচের দিকে হেঁটেছে এবং সংঘর্ষটা উসকে দিয়েছে। স্ক্রিনে দেখে মনে হচ্ছে কোহলিকে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হতে পারে।’
বিরাট কোহলির এমন আচরণে খুশি হতে পারেননি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারও। এ ঘটনায় শাস্তির সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সরে গেলে কেউ ছোট হয়ে যেত না। প্রথমে মনে হয়েছিল যে দুজনই নিচে তাকিয়েছিল। এখন দেখার বিষয় কাকে বেশি জরিমানা দিতে হয়।’
মাঠে আগ্রাসী রূপে হাজির হলেও মাঠের বাইরে যে বেশ পরিণত, তারই প্রমাণ মিলল স্যাম কনস্টাসের বক্তব্যে। প্রিয় ক্রিকেট এর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে বড় করে দেখতে চান না তিনি। স্যাম কনস্টাস বলেন, ‘মনে হয় আমরা দুজনেই তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমি ঠিক বুঝতে পারিনি ঘটনাটা নিজের গ্লাভস ঠিক করছিলাম তখনই কাঁধে ধাক্কা লাগে, তবে এরকম হতেই পারে এটাই ক্রিকেট মাঠের লড়াই মাঠেই থাকুক।’