জনপ্রিয়

রাবির ‘এ’ ইউনিটের ফলে কোনো ত্রুটি নেই বললেন-একরাম উল্যাহ

প্রকাশক: Dainik Jagroto Matrivumi
প্রকাশ: 9 months ago

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফলে কোন ত্রুটি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান সমন্বয়ক একরাম উল্যাহ। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনস কমপ্লেক্সে ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এই সমন্বয়ক বলেন, ‘এ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। একটি শক্তিশালী বিশেষজ্ঞ টিমের প্রস্তুতকৃত ফলাফল যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলাফল নিয়ে প্রচারিত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ভিত্তিহীন।

তিনি আরো বলেন, ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার শিফটের চারটি খাতা পুনঃযাচাই করা হয়েছে। এতে প্রকাশিত ফলাফলের সঙ্গে কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি। ফলে প্রতি প্রশ্নের মান ১ ধরে ফলাফল প্রকাশ কিংবা প্রত্যাশার চেয়ে ‘কম নম্বর’ দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২৫ ধরে এবং প্রতি ভুলে ০.২৫ নম্বর কাটা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু ফল প্রকাশের পর ‘কম নম্বর’ দেয়ার অভিযোগ তোলেন ভর্তিচ্ছু শতাধিক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনাও দেখা যায়। ফলে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ণের দাবি জানিয়ে ইউনিট প্রধানের নিকট লিখিত অভিযোগপত্র দেন ভর্তিচ্ছুরা। তাছাড়া এই ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের একটি সেটে চারটি প্রশ্নে গড়মিল ছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ চার শিফট থেকে চারটি অভিযোগ নিয়ে পুনঃযাচাই করেন কর্তৃপক্ষ। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকাশিত ফলাফলে কোন ভুল পাননি ইউনিটের ফল প্রস্তুতকারী বিশেষজ্ঞরা। অতি আত্মবিশ্বাসী ৪ ভর্তিচ্ছু ছাড়াও আরেকটি আবেদনকারীর উত্তরপত্র পুনঃযাচাই করা হয়। সেটাতেও কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্চিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোর্শেদুল আরেফিন বলেন, ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র বাহিরের বিশেষজ্ঞ টিম আগে মূল্যায়ণ করে। সেই উত্তরপত্র প্রত্যেকটি আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পুঃযাচাই করে। উভয়ের যাচাই-বাছাই শতভাগ মিল হলেই কেবল ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পুনরায় এলোমেলো নম্বর থেকে উত্তরপত্র বের করে বহুবার যাচাই-বাছাই চলে। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম গরমিলও এড়িয়ে যাওয়া হয় না। তাছাড়া ১ ধরে নম্বর মূল্যায়ণ হলে শিফট ভিত্তিক প্রথম হওয়া পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ নম্বর ৮০-এর বেশি হতো না।

তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় শিফটের একটি সেটের চারটি প্রশ্ন গরমিল ছিল। সেই সেটে পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ৭৬ প্রশ্নত্তোরে মূল্যায়ণ করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রত্যেককে অতিরিক্ত ৫ নম্বর প্রদানও করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভর্তিচ্ছুদের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক কিন্তু সেই প্রত্যাশা অনুসারেই যে তারা নম্বর পাবে এমনটা সকল ক্ষেত্রে সঠিক না। কারণ প্রশ্নত্তোরে কনফিউশান সৃষ্টিই প্রতিযোগিতার পরীক্ষার মূল বৈশিষ্ট্য। তবে যাচাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে কিন্তু সেখানে ত্রুটি না থাকলে সেই সমালোচনা যথাযথ নয়। তবে ভর্তিচ্ছুদের এমন বিতর্কের পেছনে কোন কুচক্রী মহলের হাত থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

তারিফুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়