মোহাম্মদ শেখ ফরিদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য দীর্ঘদিন ধরেই রাখা হয় খোলা আকাশের নিচে। হাসপাতালের পেছনে পঞ্চগড় নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রবেশ গেইটের পাশে খোলা ডাস্টবিনে রাখা হয়েছে এসব মেডিক্যাল বর্জ্য । যেখানে চিকিৎসা-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই মেডিকেল বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলা এবং জীবাণুমুক্ত করার নিজস্ব ব্যবস্থা থাকতে হবে মর্মে আইন থাকলেও সরকারি হাসপাতালেই এই আইন মানা হয় নি। উক্ত আইনে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যে সকল বিধি নিষেধ এর কথা বলা হয়েছে তার কোন দেখা নেই এখানে। স্থানীয়রা জানান, আমরা জানি মেডিকেল বর্জ্য পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এগুলো নিদৃষ্ট কঠোর নিয়ম মেনে সংরক্ষণ, জীবাণু মুক্ত করে ধ্বংস করার কথা থাকলেও সরকারি প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালেই তা মানা হয় নি। যেখানে এই আবর্জনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাখছেন সেখানে কোন ঢাকনা বা দরজা নেই। অনেক সময় গরু ছাগল ঐ বিষাক্ত বর্জ্য থেকে খাবার খায়। আবার কখনো কাক বা অন্যান্য পাখি এই আবর্জনা শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। ইদানিং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাস্টবিনের মুখে লোহার ছোট গেইট তৈরি করলেও তা পরিবেশ রক্ষায় কোন কাজে আসছে না। এখানকার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিকেল বর্জ্য ও আনুষঙ্গিক বিষয় গুলো দেখাশোনা করেন। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানেই এমন অবস্থা যা স্বাভাবিক ভাবে সংশ্লিষ্টদের দ্বায়িত্বহীনতা বোলে ধারনা স্থানীয়দের। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন পঞ্চগড় ডাঃ মোস্তাফা জামান চৌধুরি বলেন, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে প্রসেস তাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়। আর এর জন্য সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজন। সরকারি বরাদ্দ না থাকায় আমরা তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারি নি। ইতিমধ্যে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আমরা এই ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি নিজেদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি ভাবে ব্যবস্থা করার কাজ চলমান রয়েছে।