সংবাদদাতা: ফাহমিদা ফিরোজ
নিজ এলাকায় এবং ঢাকায় পাঠাগার বিশেষ অবদানের জন্য পেলেন গুনীজন সংবর্ধনা ‘বয়লার ট্রেকনিশিয়ান’ শাহাদাত হোসেন। নাইট বিল ও ওটির টাকায় পাঠাগার গড়ে নিজ এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন ‘বয়লার ট্রেকনিশিয়ান’ শাহাদাত হোসেন। এবার কাজের জন্য স্বীকৃতি স্বরুপ শাহাদাত হোসেন পেলেন আন্তর্জাতিক গুনীজন সংবর্ধনা,শতরুপা সাহিত্য পরিষদ এর উদ্যোগে ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবার। তোপখানা ঢাকায় শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহাদাত হোসেনকে আন্তর্জাতিক গুণীসংবর্ধনা দেয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি “সিনিয়র সচিব ” জনাব নাজমুল ইসলাম সরকারের হাত থেকে শাহাদাত হোসেন ক্রেস্ট পান। পাঠাগার গড়ে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর স্বীকৃতি স্বরুপ শাহাদাত হোসেন ছাড়াও দেশের আরও বেশ কিছু ব্যাক্তিকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয় শতরুপা সাহিত্য পরিষদ থেকে। শাহাদাত হোসেন বলেন -‘ছোট বেলায় বই পড়ার নেশা থেকে স্থানীয় বইমেলা, হাটবাজার ইত্যাদি থেকে বই কেনা। পড়া শেষে পড়ে থাকতো। বইগুলো কাজে লাগানোর ভাবনা থেকে প্রায় তিন বছর আগে থেকে বাড়িতে ছোট পরিষদে গড়ে তোলা পাঠাগার। ‘ তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো স্বীকৃতি অবশ্যই কাজের গতি বৃদ্ধি করে সেহেতু আমার দায়িত্ব এখন আরো দায়িত্ব বেড়ে গেলো।সবসময় চেষ্টা করব এই স্বীকৃতির প্রতিদান দিতে ‘। -টেকসই জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ উন্নত জাতি ও আলোকিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে কাজকে আরও বেগমান করতে চান তিনি। বর্তমানে আমাদের পাঠাগার এর অবকাঠামোগত সমস্যায় ভুগছেন আর এই সমস্যা নিরসনের জন্য সবার সহযোগিতা চান শাহাদাত হোসেন। তার সর্বশেষ বক্তব্য দেন ‘আজকের পাঠক, আগামী দিনের প্রজন্মের লেখক কাজেই ভালো পাঠক হলেই ভালো লেখক হওয়া যায় ‘। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন: -জনাব মো:নাজমুল ইসলাম সরকার। প্রধান আলোচক:কবি গবেষক ও সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান নিজামী। উদ্ভোদক ছিলেন :মোহাম্মদ আলমগীর (জুয়েল)। সভাপতিত্ব করেন: মুন্সি কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ খান আকতার হোসেন। রফিকুল ইসলাম বাবুল। প্রসঙ্গত -শাহাদাতের বাড়ি :ধূলাউড়ি পূর্ব পাড়া,ধূলাউড়ি সাথিয়া, পাবনা। পাঠাগারের নাম – সবার জন্য পড়া উম্মুক্ত পাঠাগার।