সিলেট সদর প্রতিনিধি
স্বেচ্ছাসেবকদের যথাযথ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন ছাড়া দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়—এমন মন্তব্য করেছেন হাফিজ সোসিয়াল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক (সিইও) ও তরুণ সংগঠক মো. ছালিম আহমদ খান।
তিনি বলেন, “স্বেচ্ছাসেবক মানে শুধু একজন কর্মী নয়। স্বেচ্ছাসেবক সেই মানুষ, যিনি বিনা পারিশ্রমিকে মানুষের পাশে দাঁড়ান, বিপদের সময় ছুটে যান, সময়, শ্রম ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করেন। তবে একজন স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আগে অবশ্যই একজন ভালো মানুষ হওয়া জরুরি।”
ছালিম আহমদ আরও বলেন, “ভালো মানুষ না হলে নিজের স্বার্থ ভুলে অন্যের কষ্ট অনুভব করা যায় না। মানবতা, সহানুভূতি ও দায়বদ্ধতা ছাড়া প্রকৃত স্বেচ্ছাসেবক হওয়া সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আজ হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী বিনা পারিশ্রমিকে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত। এই বিশাল স্বেচ্ছাসেবী জনগোষ্ঠী পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে এখনও এই স্বেচ্ছাসেবীদের কোনো যথাযথ রাষ্ট্রীয় মূল্যায়ন নেই। ইউরোপ-আমেরিকায় স্বেচ্ছাসেবীরা সরকারিভাবে স্বীকৃতি, সম্মাননা, প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা পান। অথচ বাংলাদেশে তারা অনেক সময় অবহেলা ও উপেক্ষার শিকার হন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ সময়মতো স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মান ও মূল্যায়ন দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন কখনোই বাস্তব রূপ পাবে না। কারণ, স্বেচ্ছাসেবকরা দেশ গড়ার নিঃশব্দ সৈনিক। তাদের উৎসাহ না দিলে উন্নয়ন কেবল স্লোগান হয়ে থাকবে, বাস্তবতা নয়।”
তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মান করি, তাদের কাজকে মূল্য দিই, রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করি। কারণ যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।”
প্রসঙ্গত, মো. ছালিম আহমদ খান একজন সামাজিক ও মানবিক সংগঠক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে হাফিজ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসহায়, দুঃস্থ ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন নীরবে, নিষ্ঠায় ও সেবার মানসিকতা নিয়ে।