রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের বিদায়ী প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেছেন, 'হলে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। দুয়েকটি ছোটখাটো ছাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমস্যা হলেও সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করেছি।' রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে প্রাধ্যক্ষ হিসেবে তিন বছর মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে হলে সাংস্কৃতিক চর্চা কক্ষের উদ্বোধন শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি। বিদায়ী প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, স্বদিচ্ছা থাকলে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা পেলে একটি হল সুন্দরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন সকলের সহযোগিতা নিয়ে হলটি সুন্দরভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেছি। দুয়েকটি ছোটখাটো ছাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমস্যা হলেও সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে সমাধান করেছি। সর্বোপরি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি৷ তিনি বলেন, আশা করি আমার পরবর্তী প্রাধ্যক্ষও এর ধারা অব্যাহত রাখবেন। আমার এ দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যদ্বয়সহ প্রশাসনের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হলের আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। হল সূত্রে জানা গেছে, সাংস্কৃতিক চর্চা কক্ষ ছাড়াও তিন বছর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এই প্রাধ্যক্ষ হলে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে হল প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হলের নীচতলায় ওয়াশরুম নির্মাণ ও হলের প্রবেশমুখে র্যাম্প তৈরি, হলের সকল ওয়াশরুম, ডাইনিং ও ক্যান্টিনে টাইলস লাগানোর পাশাপাশি গেমস রুমের আধুনিকায়ন, রিডিং রুমের সংস্কার, হলের অভ্যন্তরে উন্মুক্ত মঞ্চ উদ্বোধন ও নান্দনিক অভ্যর্থনা কক্ষ নির্মাণ, করে দেন তিনি। এছাড়া হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য হলে অতিথি কক্ষের উদ্বোধন, হল প্রাধ্যক্ষের দপ্তর আধুনিকায়ন, ২০২১ সালে রাকসু আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া উৎসবে অ্যাথলেটিকস ও ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দল এবং আন্তঃকলেজ অ্যাথলেটিকস ও ওয়াটারপোলো চ্যাম্পিয়ন দলকে ব্লেজার প্রদান, অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন, হলের ১৯ কৃতি শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান ও গুণিজন শিক্ষক সম্মাননা-২০২৪ এর আয়োজন এবং জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
তারিফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়