বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:
শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে 'বইয়ের বিনিময়ে বই উৎসব'। এ উৎসবে পুরাতন বই দিয়ে ভিন্ন বই পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মুক্তমঞ্ছে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। 'পাঠকের দুয়ারে বই' এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অদম্য'১৯ এর আয়োজনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৫৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় চলছে এ উৎসব। আয়োজক কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, বই বিনিময় উৎসবে তিনটি ক্যাটাগরিতে বইয়ের বিনিময়ে বই প্রদান করা হচ্ছে। ভালো মানের বই 'এ' ক্যাটাগড়িতে, দ্বিতীয় অবস্থানে 'বি' ক্যাটাগড়ি এবং তৃতীয় অবস্থাে 'সি' ক্যাটাগড়িতে ধরা হয়েছে। পুরাতন বই যেসব ক্যাটাগরি ভিত্তিক হবে একজন শিক্ষার্থী সেই ক্যাটাগরি ভিত্তিক বই গ্রহণ করতে পারবে। সকাল থেকে এ উৎসবে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আলী আজম বলেন, "বইয়ের বিনিময়ে যে বই প্রদান, উদ্যোগটি আসলেই অসাধারণ এবং প্রশংসার দাবিদার। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। অনেকেই পঠিত বইগুলো দিয়ে অপঠিত বইগুলো নিয়ে পড়তে পারবে, যার বিনিময়ে অর্থের প্রয়োজন হচ্ছে না তাদের। আমরা যারা মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা আছি, যারা বই পড়তে ভালোবাসি, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এমন আয়োজন সবসময় প্রত্যাশা করেন এ শিক্ষার্থী"। বই দেখতে আসা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আল জাবের আহমেদ বলেন, "যারা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তারা আসলেই প্রশংসার দাবিদার। একজন পাঠক হিসেবে আমি মনে করি, এধরণের আয়োজন সবসময় হওয়া উচিত। এতে করে বইয়ের প্রতি ভালোলাগা জন্মাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এধরনের আয়োজনের ফলে পাঠকদের ইতোপূর্বে যে বইগুলো পড়া হয়েছে সেগুলো দিয়ে নতুন বই নিতে পারছে। ফলে জ্ঞানের দরজা আরও বিকশিত হচ্ছে। তাই আয়োজকেরা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার"। আয়োজকদের মধ্যে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব উল হাসান বলেন,"আমাদের এখানে তিন ক্যাটাগরির বই রয়েছে, আমরা এখানে বই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দেখবো হলো বইয়ের মূল্য কত এবং মান কেমন। একজন ব্যক্তি চাইলে আমাদের এখান থেকে ১০-২০টা বইও পরিবর্তন করে নিয়ে যেতে পারবেন। আমাদের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যই হলো বর্তমান প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্ত থেকে বের করে এনে বইমুখী করা। তাই আমরা বই বিনিময়ের ক্ষেত্রে কোনো লেনদেনেরও ব্যবস্থা করিনি, শুধু বইয়ের বিনিময়ে বই। আমাদের উদ্দেশ্যই হলো বইয়ের প্রতি যুবসমাজকে আগ্রহী করে তোলা"।
তারিফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়