প্রতিবেদনঃ রনি হোসেন
ইফতার ও কিরাত মাহফিলে হামলা করে সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আশিক আনোয়ার বলেছেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশ, ইসলাম ও মানবতা কোন কিছুই নিরাপদ নয়। তারা ভারতেকে খুশি করতে ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনার বিরুদ্ধে আঘাত দেয়া শুরু করেছে। ভারতকে খুশি করার জন্যেই সরকার ইফতারে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। ভারতে চলমান মুসলিম নিধন এবং বাংলাদেশে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রোগ্রামে বিধিনিষেধ একইসূত্রে গাঁথা। ভারতের আশীর্বাদে ক্ষমতায় এসে ভারতকে খুশি করার জন্যেই সরকার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে ওঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাবির অনুষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় সংগীত দিয়ে প্রোগ্রাম শুরু সরাসরি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঘাত। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে এমন কাজ করার কি করে সাহস পেল তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ আজ নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা। মানুষের কষ্ট এ ফ্যাসিস্ট সরকার দেখছে না। গতকাল শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের সামনে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইফতার-কিরাত মাহফিল ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হামলা এবং নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মানববন্ধন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ শরীয়তপুর জেলার সভাপতি রাসেল সরদার, সহসভাপতি আবু নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী। সভাপতির বক্তব্যে রাসেল সরদার বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদীতে বাধানিষেধ ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে হামলা করে সরকার সরাসরি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ইফতার-কিরাত মাহফিলে হামলা ও বাধা দিয়ে তারা মূলত দেশটাকে অসভ্যতায় রূপান্তর করতে চায়। ঢাবিতে ইফতার মাহফিলে হামলা দেশের মানুষ মেনে নিবে না। বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার মাসে ভারতের জাতীয় সংগীত নিয়ে টানাটানি কেন? বাংলাদেশ যাদের ভালো লাগে না তারা ভারতে চলে যান, তবু বাংলাদেশে বসে ভারতের গান গাওয়ার দুঃশাহস দেখাবেন না।