আন্তর্জাতিক ডেস্ক.
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকে হত্যার জন্য মরিয়া হয়েখুঁজছিল ইসরাইলের আতুতাইরা। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাজ দেশটির চ্যানেলথার কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানান। সাক্ষাৎকারে কাজ আরো বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনীকে অনেক খুঁজেছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে তাকে খুঁজে
পাওয়া যায়নি। ইসরাইলের সেনাবাহিনী আক্রমণ চালানোর জন্য মোক্ষম সুযোগ খুঁজে পায়নি। তিনি ঝুঁকি বুঝতে পেরে আগেভাগে আত্মগোপনে চলে যান এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ফলে তাকে টার্গেট করা আর সম্ভব হয়নি।
এর আগেও ইসরাইল কাজ বলেছিলেন ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে যদি সম্ভব হতো তাহলে ইসরাইলের সেনাবাহিনী ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করতো। ইরানী কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়েছে যে বর্তমানে যুদ্ধবিরতি
সত্ত্বেও ইসরাইল খামেনীকে হত্যা করার চেষ্টা করতে পারে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাজ চ্যানেলটিকে আরো বলেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায়
আক্রান্ত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনরুদ্ধার করার মত অবস্থায় নেই। তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর ক্ষমতা ব্যাপকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবিকরেন তিনি।
এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার ইরানী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসেন ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। ক্লান্ত ও কন্ঠস্বর ভারী হলেও তার বক্তব্য ছিল আগ্রাসী।
খামেনী বলেন, আমরা কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আমেরিকার মুখে চপেটাঘাত দিয়েছি। যদি আরো উস্কানি দেওয়া হয় তবে আমরা পাল্টা প্রতিশোধ নিতে দ্বিধা করবো না। মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতিই করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
কিন্তু ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না। কারণ ইরান শক্তিশালী জাতি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে মন্তব্যকেও খামিনী গুরুত্বহীন ও অকার্যকর বলে উড়িয়ে দেন।
ইসরাইলকে ইঙ্গিত করে খামিন বলেছেন অবৈধ ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য সবাইকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করেছে কারণ তারা মনে করেছিল যদি তা না হয় তাহলে ইহুদীবাদী শাসন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি আরোবলেন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ থেকে কোন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।
দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে গত ১৩ জুন ইরানের যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর খামিনী গোপন স্থানে চলে যান। গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরোতি হয়। ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরোতি শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এটি কার্যকর রয়েছে।