অনলাইন ডেস্ক.
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ করে দিয়েছে। এরই মধ্যে এই নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মার্কিন কর্মকর্তা ও দূতাবাসে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় যাওয়ার প্রথম দিনেই প্রায় সব বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিতের এই নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এবার খবর এলো বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করে দিচ্ছে আরো এক দেশ। একের পর এক বিদেশী সহযোগিতা বন্ধের খড়ক কি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভাগ্যে!!
জানা গেছে বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড। বাংলাদেশ ছাড়াও আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ায়ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে সুইস সরকার। দেশটির সংবাদ মাধ্যম সুইস ইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বৈদেশিক সহায়তার জন্য সুইস সরকার যে পরিমাণ অর্থ চেয়েছিল তার চেয়ে কম অর্থ বরাদ্দ করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিন দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ড সরকার।
পার্লামেন্টে আন্তর্জাতিক সহায়তা কাটছাটের সিদ্ধান্ত গত ২৯ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের নির্বাহী সংস্থা ফেডারেল কাউন্সিলকে জানানো হয়। এর ফলে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কোঅপারেশন বা এসডিসি ২০২৮ সালের পর বাংলাদেশ আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ায় দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে। এতে সুইস সরকারের দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বিষয়ভিত্তিক সহযোগিতার পাশাপাশি বহুপক্ষীয় সংস্থার গৃহীত কর্মসূচির উপর প্রভাব পড়বে।
এদিকে বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিদেশে মার্কিন সহায়তা স্থগিত করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রভাব অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পড়তে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশটির অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ বা স্থগিত করা হয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মীদের হোম অফিস করার নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে বৈদেশিক সহায়তায় পরিমাণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সর্বোচ্চ।
আমেরিকা ফাস্ট নীতিকে প্রাধান্য দেওয়া ট্রাম্প প্রথম দিনেই প্রায় সব বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। শুধু ইসরাইল ও মিশরকে বাইরে রাখা হয়েছে। আপাতত তিন মাসের জন্য এই আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি। সহায়তার আওতায় থাকা প্রকল্পগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা এই সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করে দেখবে তারা।
সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বাংলাদেশকে দিয়েছে দেশটি। ইউএসএ আইডির তথ্য বলছে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, গণতন্ত্র ও শাসন ব্যবস্থা, পরিবেশ ও জ্বালানি খাত ছাড়াও মানবিক সহায়তা দিয়েছে তারা। এছাড়া রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তার জন্য বরাদ্দ ছিল এতে। অন্যান্য বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেলেও রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের অর্থায়ন বজায় থাকবে। ইউএস এআইডির বরাতে এমনটি জানিয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।