সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
১৬/৭/২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সারা বাংলাদেশে কোটা সংস্কার ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এক প্রতিবাদ সভা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এতে বাধা দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ। পরে সংঘর্ষ এড়াতে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে এ কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারি ফাহিম মুনতাসির জানান, আজ দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে সভার আয়োজন করা হলে কর্মসূচীর শুরুতেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা আন্দোলনে জামাত-বিএনপির সম্পৃক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে দায় দায়িত্ব আন্দোলনকারীদের কাধে নেওয়ার কথা জানায়। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীরা অনেকটা মারমূখী অবস্থানে থাকায় উক্ত সমাবেশটি সংক্ষিপ্ত করা হয়। সানিউর রহমান আরও বলেন, সরকারের যে কোটা আছে সেটির যৌক্তিক সংস্কার চাই। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চাইছে সরকার। কিন্তু আমরা চাই, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যেন কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হন। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন জানান, আমরাও চাই কোটার যৌক্তিক সংস্কার হোক। যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ দেশের কোথাও বাধা দেয়নি। জামাত-বিএনপি এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনো আপত্তি নেই। তবে জনগনের জানমাল রক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোন ধরেণের অপতৎপরতাকে ছাত্রলীগ দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত।