ইমান আলী, স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা,
৯ মে:চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতা মঞ্চ।তারা মনে করে, দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও স্বাধিকার প্রশ্নে এ সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী এবং বিপজ্জনক।আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, "চট্টগ্রাম বন্দর একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অথচ সাম্প্রতিক একাধিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বন্দরের অপারেশন পরিচালনার জন্য একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।"তারা দাবি করে, মালিকানার দিক থেকে এটি একটি বহুজাতিক কোম্পানি হলেও মূলত এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত একটি দলীয় কোম্পানি। যাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আফগানিস্তান-ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ রয়েছে।সংগঠনটির মতে, এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং বন্দরকেন্দ্রিক শ্রমজীবী মানুষের ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে।তারা চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালনা দেশীয় নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:১. চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তর অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।২. এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা ও জনমত যাচাই করতে হবে।৩. বন্দর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে।৪. বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেকোনো চুক্তি স্বাক্ষরের আগে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:ডিকে সোলায়মান, সাদমান সাকিব, সুজন মুত্তাকিম মুন, মেহেদী হাসান এবং প্রধান আহ্বায়ক জাকির সুমন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগঠন, মুসলিম সমাজ, বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমজীবী মানুষ এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরাও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন।